প্রতীকী ছবি
জীবদ্দশায় বিমা করিয়েছিলেন ৫০ লক্ষ টাকার। তাঁর মৃত্যুর পরে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা। বাধ্য হয়ে রাজ্য ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের শরণাপন্ন হয় মৃতের পরিবার। গত ১৪ জুন ক্রেতাসুরক্ষা আদালত রায় দিয়েছে, অবিলম্বে মৃতের স্ত্রীর হাতে ওই ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বিমা সংস্থাকে।
কী ছিল ঘটনা?
দক্ষিণ ২৪ পরগণার রায়দিঘি এলাকার গিলেরচক গ্রামের বাসিন্দা পবন নাইয়া। ২০১৩ সালের জুনে একটি বেসরকারি সংস্থায় ৫০ লক্ষ টাকার জীবনবিমা পলিসি করেন। তার এক মাসের মধ্যেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পবনবাবুর। আকস্মিক ওই ঘটনার ধাক্কা সামলে মাস দুয়েক পরে তাঁর স্ত্রী সামা নাইয়া বিমার টাকা চেয়ে আবেদন জানান। সামাদেবীর আইনজীবি সোমালি দে জানান, তাঁর মক্কেল বার বার বিমা অফিসে গিয়েও কোনও সাড়া পাননি। উল্টে বিমা সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পবনবাবু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাই বিমার টাকা পাওয়া যাবে না। এর পর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে লিখিত অভিযোগ জানান সামাদেবী।
দু’বছর ধরে সেই মামলা চলে। আদালত বলেছে, যে কোন ব্যক্তির বিমা করার আগে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা চিকিৎসক দিয়ে বিমাকারীর শারীরিক পরীক্ষা করায়। ক্যানসার থাকলে তখনই ধরা পড়ত। তা ছাড়া বিমা সংস্থার দেওয়া নথিপত্রেও তার প্রমাণ মেলেনি। তাই ক্যানসারে মারা যাওয়ার কথা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। বিমা সংস্থা এই কথা বলে মৃতের স্ত্রীকে বিভ্রান্ত করেছে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ৪৫ দিনের মধ্যে মৃতের স্ত্রীর হাতে ওই টাকা দিতে হবে। দেরি হলে ওই টাকার উপর অতিরিক্ত ৯ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy