প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বার প্রচুর আসন খালি থেকে যাওয়ায় রাজনৈতিক স্তর থেকে শিক্ষাজগৎ জুড়ে তুমুল শোরগোল হয়েছে। তার জের কাটতে না-কাটতেই রাজ্য সরকারের তরফে প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হল, আর যাতে এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না-হয়, সেই বিষয়ে এখন থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষে কোনও আসনই যাতে ফাঁকা না-থাকে, সেই ব্যাপারে বছরের প্রথম থেকেই উপাচার্যকে সতর্ক থাকতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে জানান, প্রেসিডেন্সির দ্বিশতবর্ষ পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর যাতে আসন ফাঁকা পড়ে না-থাকে, উপাচার্যকে বছরের প্রথম থেকেই সে-দিকে নজর দিতে বলেছি।’’
এ বার প্রায় ৩০০ আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছে প্রেসিডেন্সিতে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এত আসন খালি থেকে গেল কেন, উচ্চশিক্ষা দফতর সেই বিষয়ে প্রেসিডেন্সির রিপোর্ট তলব করেছিল। উপাচার্যের জবাব তলব করেন শিক্ষামন্ত্রী। সাফ জানিয়ে দেন, কোনও আসনই খালি রাখা যাবে না। রিপোর্ট দেয় প্রেসিডেন্সি। কেন এ বার আর আসন ভরানো সম্ভব নয়, উপাচার্য নিজে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেটা ব্যাখ্যা করেন। সব কিছু খতিয়ে দেখে শিক্ষামন্ত্রী বুঝেছিলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে আর আসন পূরণ করা যাবে না। শিক্ষা শিবিরের মতে, আগামী বছর যাতে একই ঘটনা না-ঘটে, তাই এ দিন উপাচার্যকে বিষয়টি আবার মনে করিয়ে দিলেন মন্ত্রী।
আসন ফাঁকা থেকে যাওয়ায় প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনীরাও উদ্বিগ্ন। মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসু জানিয়েছেন, সংরক্ষিত আসন পূরণের জন্য প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং ভিন্ রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণির মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy