রাজ্যের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঠিক কী ভাবে চলছে তা বিস্তারিত আলোচনার জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর বৈঠক ডাকলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিকাশ ভবন সূত্রের বক্তব্য, তৃণমূল সরকার আসার পরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে এত বড় বৈঠক আগে ডাকা হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, পুজোর পরে এ হল ‘বিজয়া সম্মিলনী’।
শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সকলকে ডেকে বিজয়া সম্মিলনী করা হবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক ও পঠন-পাঠনের বিষয়েও আলোচনা করা হবে।’’ উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে পাঠানো নির্দেশেও বলা হয়েছে, বেসরকারি অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা এই বৈঠকে প্রশাসনিক বিষয়ের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পঠনপাঠন কী ভাবে চলছে, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা হবে কেন্দ্রের ‘রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান’ (রুসা) নিয়েও।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিকে ২০০৫-’০৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ খরচের হিসেব দিতে বলা হয়েছিল। ‘রুসা’ প্রকল্পের আওতায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। সেই অর্থের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কি না, জানতে চাইবেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরিদর্শন চালিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (নাক) সদস্যেরা এখন মূল্যায়ন করছেন। রুসার আর্থিক অনুদান পেতে এই মূল্যায়ন জরুরি। প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে এই মূল্যায়নে অংশ নেয়, বৈঠকে সেই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
প্রতিষ্ঠানগুলি ‘অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার’ ঠিকঠাক মেনে চলছে কি না, তা নিয়েও ওই দিন আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বারবার প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ‘চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ চালুর নির্দেশ দিচ্ছে। এর ফলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সেমেস্টার প্রথায় পঠনপাঠন চালু করতে হবে। বিষয় নির্বাচনে পড়ুয়াদেরও প্রচুর স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু এখনও রাজ্যের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতি চালু করেনি। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই বিষয়টিও উঠবে বৈঠকে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বলা হবে, তারা যাতে দ্রুত নিজস্ব বিধি চালু করে। বিভিন্ন মহলের আপত্তিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখনও খসড়া বিধি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy