মুকুল রায়।ফাইল চিত্র।
সারদা, নারদ আর মুকুল রায়— প্রাক্-পুজো তৃণমূলে চর্চার কেন্দ্র এখন এই তিনটি বিষয়। তার মধ্যেও নজর বেশি তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উপরে। অনেকেরই প্রশ্ন, অমিত শাহের আকাশেই কি তা হলে উদয় হবেন মুকুল?
কখনও নিজাম প্যালেস, কখনও পূর্ব কলকাতার নিভৃত আবাসনে বসে মুকুল অবশ্য এখন আর তাঁকে নিয়ে কোনও জল্পনা ওড়াচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘দেখি, এ মাসেই যা হবার হবে। তবে কী হবে বা কী ভাবে হবে, সে সব এখন বলব না। পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব।’’
তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য দাবি করছে, মুকুলের এ বারের দিল্লিযাত্রা বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে। অচিরেই ঘোষিত হবে ‘বড় সিদ্ধান্ত’। তৃণমূলের অন্দরেও ক্রমেই একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, মুকুল আর তৃণমূলে থাকছেন না। আগাম তা আঁচ করেই সংসদীয় কমিটি হোক বা দলীয় সহ-সভাপতির পদ— সব কিছু থেকে সরানো হয়েছে তাঁকে। মুকুল এখন দলের প্রাথমিক সদস্যের পাশাপাশি কার্যকরী সমিতির একজন সদস্য মাত্র। সেই সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ। যার মেয়াদ এখনও সাত মাস বাকি। সাংসদ কোটার ১০ কোটি টাকা এখনও খরচ হওয়া বাকি রয়েছে বলে মুকুল-ঘনিষ্ঠেরা দাবি করছেন। সে সব দেখেশুনেই ‘বড় সিদ্ধান্ত’ হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:হুমকিতেই রইল বন্ধ
মুকুল যে বিজেপিতে যাবেন, তা তিনি নিশ্চিত করছেন না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এ নিয়ে হেঁয়ালি করছেন। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘উনি বিজেপিতে আসতে চাইলে ভাবব। উনি অনেক বড় নেতা। আমাদের দিল্লির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’’ দিলীপবাবুর সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়লেই একটা মায়ামৃগ ছেড়ে দেন! তখন সকলে তার পিছনে ছুটতে থাকে। যেমন এখন আপনারা ছুটছেন!’’ যা শুনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যদি কেউ বিজেপির সঙ্গে সংস্রব রাখেন, তাঁর সঙ্গে আমাদের দলের যোগ থাকতে পারে না। বিচক্ষণ তৃণমূল নেতারা বিজেপি নেতাদের ঘরে কড়া নাড়তে পারেন না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কেউ বিজেপির পথে পা বাড়ালেও দলের সাধারণ কর্মীরা কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে যাবেন না। তৃণমূল কর্মীদের কাছে মমতাই শেষ কথা।’’
গত কালই পার্থবাবু বলেছিলেন, দল মুকুলবাবুর কার্যকলাপের উপর নজর রাখছে। সে কথা যে সত্যি, তা তাঁর এ দিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট। কারণ, মুকুলের দল ছাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জেলা থেকে বসে যাওয়া অনেক নেতা-কর্মীই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা আসছেন। অনেকেই ফোনে যোগাযোগ করছেন তাঁর সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy