সর্বদল বৈঠকে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দিশা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে উত্তরবঙ্গ।
পাঁচ মাসের মাথায় আজ, সোমবার ফের উত্তরবঙ্গ আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরেই পাহাড় নিয়ে বসবে সর্বদল বৈঠক। সকলেরই আশা, সেই বৈঠকে পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের দিশা আরও স্পষ্ট করবেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে শীতের মরসুমে ফের পাহাড়-সমতলের পর্যটন ব্যবসা জমজমাট হবে। সেই সঙ্গেই, সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তাই বৈঠকের ফলাফলের দিকে নজর রাখছে বিরোধীরাও।
প্রথমে পাহাড়ের ছবিটা দেখা যাক। পাহাড়ে ঘর গুছিয়ে দলের পুরো কর্তৃত্ব হাতে নিয়ে সর্বদলে যোগ দিতে ঝাঁপিয়েছে বিনয়-অনীত শিবির। তেমনই, জিএনএলএফ, গোর্খা লিগ, জন আন্দোলন পার্টিও ত্রিপাক্ষিকের জন্য সওয়াল করতে তলে তলে জোট বাঁধছে। বিনয়-অনীতরা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরাই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য গোড়া থেকে সওয়াল চালিয়ে যাচ্ছেন। বিনয় বলেন, ‘‘হুমকি নয়, সুসম্পর্ক জোরদার করেই পাহাড়ের উন্নয়নে গতি আসবে। দাবি আদায়ের পথও মসৃণ হবে। সে ভাবেই এগোচ্ছি।’’
আজ, সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বাগডোগরা পৌঁছে যাবেন উত্তরকন্যায়। পরদিন দুপুরে পিনটেল ভিলেজে পাহাড় নিয়ে সর্বদল বৈঠক। বুধবার উত্তরকন্যায় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক হবে। সেখানে প্রায় ৬০০ জন অফিসার যোগ দেবেন। তাই বিশাল মণ্ডপে কনফারেন্স হল হয়েছে।
সাম্প্রতিক কালের সব থেকে বড় প্রশাসনিক সভা হতে চলেছে উত্তরকন্যায়। তাই যে সব প্রকল্পের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, তা সামাল দিতে অফিসাররা প্রায় রোজই রাত জাগছেন।
রবিবার উত্তরকন্যায় রাত অবধি তদারকি করতে দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। দফতরের সচিব তথা জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার বরুণ রায়কে দেখা গিয়েছে একের পর এক ফাইলে সই করে তিন জেলার ২০০টি প্রকল্পের খতিয়ান তৈরি করছেন।
আবার কখনও দেখা গিয়েছে, প্রায় ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের রাস্তার কাজ এদিনই পূর্ত দফতরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেচ দফতর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকেও ৪২ কোটি টাকার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সব কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেয হয়নি তা মার্চের মধ্যে শেষ করতেই হবে। তাই নানা দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ শুধু তাই নয়, আলিপুরদুয়ারে স্টেডিয়াম তৈরির জমি মিলছে না বলে এতদিন টালবাহানা চলেছে। এ দিন সেই জমি মিলেছে বলে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন।
ব্যস্ততা তুঙ্গে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবেরও। গজলডোবার মেগা ট্যুরিজম হাবের কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে, ইসলামপুরে বাইপাসের সমস্যা মিটেছে। কিন্তু, ধূপগুড়ির জমি জটিলতা কাটেনি। তাই রূপরেখা তৈরিতে ব্যস্ত তিনি।
সব মিলিয়ে প্রত্যাশার পারদ যেন আকাশছোঁয়া। মুখ্যমন্ত্রী তা কী ভাবে সামাল দেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় পাহাড়-সমতল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy