—ফাইল চিত্র।
ঘরের ছেলে সৌম্যজিৎ ঘোষের একের পর এক কৃতিত্বে গর্বে বুক ফুলে উঠেছিল শহর শিলিগুড়ির। সেই সৌম্যজিতের বিরুদ্ধেই এখন নাবালিকাকে ধর্ষণ, গর্ভপাতের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বিব্রত সেই শিলিগুড়ি শহরই।
অস্বস্তি আরও বেড়েছে শুক্রবার কমনওয়েলথ গেমসে দল থেকে টিটিএফআই তাঁকে সাসপেন্ড করায়। কমনওয়েলথের প্রস্তুতির জন্য জার্মানি গিয়েছিলেন সৌম্যজিৎ। কিন্তু এ দিন সাসপেন্ড হওয়ার খবরে তাঁর খেলোয়াড় জীবনের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলে উদ্বিগ্ন শহরের টেবল টেনিসপ্রেমীরা।
দু’দিন ধরেই ভিডিও কনফেরেন্সে বিষয়টি নিয়ে ফেডারেশনের অন্য কর্মকতার্দের সঙ্গে কথা বলছেন মান্তু ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘ফেডারেশনের আইনজীবীরা বিষয়টি নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা করেছেন। তার পরেই ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’’ মান্তুর কথায়, ‘‘একজন খেলোয়াড়ের কাছে বিষয়টি দুর্ভাগ্যের। অনেক কষ্ট করে একজন খেলোয়াড় বড় হয়। তার পর এ ভাবে সেই জায়গা নষ্ট হবে সেটা কাম্য নয়।’’
তা ছাড়া, সৌম্যজিৎ কেন এ ধরনের ঘটনায় নিজেকে জড়ালেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিচিতরাও। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ থেকে শিলিগুড়ি পুরসভা সর্বত্রই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে ওঠা বারাসতের ওই তরুণীর অভিযোগ। সৌম্যজিতের বাবা হরিশঙ্করবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘আমার ছেলে চক্রান্তের শিকার হয়েছে। নানা ভাবে ওর কেরিয়ার, খেলোয়াড় জীবন নষ্ট করার চক্রান্ত হচ্ছে।’’
বুধবার রাত থেকেই বিষয়টি নিয়ে হইচই হওয়ার পর টেবল টেনিস কর্মকর্তাদের একাংশের আশঙ্কা ছিল, সামনে কমনওয়েলথ গেমসে আদৌ তাঁর সুযোগ মিলবে কি না? তার উপর পকসো আইনে মামলা রুজু হওয়ায় বিষয়টি গুরুতর হয়ে উঠেছে। শিলিগুড়ি টেবল টেনিস অ্যাকাডেমির কোচ অমিত দামের কাছে সৌম্যজিৎ একসময় অনুশীলন করতেন।
অমিতবাবু বলেন, ‘‘যে অভিযোগ উঠেছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখবে। যেটুকু খবর পেয়েছি তাতে দুই জনই আগে থেকে একে অপরকে চিনত। খেলার জগতে সৌম্যজিৎ যে জায়গায় উঠেছে, তাতে কিছু করার আগে তার পাঁচ বার ভাবতে হবে। চিন্তাভাবনা করে কাজ করা দরকার। পরিবারের লোকদেরও উচিত ছিল সৌম্যজিৎকে ঠিক পথে চলতে শেখানো।’’
টেবল টেনিসে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়া-সহ অর্জুন পুরস্কার পাওয়ার সময় সৌম্যজিৎকে নিয়ে শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দাদের গর্বের অন্ত ছিল না। তার পর অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার পর তাকে ঘিরে শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনা মাঝপথে ছন্দপতন ঘটাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy