মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
উন্নয়নের প্রশ্নে তিনি যে আপস করবেন না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার হুগলির গুড়াপ এবং পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় দুই জেলার দু’টি প্রশাসনিক বৈঠকে দু’টি প্রকল্প নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর কড়া হওয়ার বার্তা দেন মমতা। গুড়াপে তিনি তোলেন ভাবাদিঘিতে রেলপ্রকল্পের প্রসঙ্গ। গুসকরায় ভাগীরথীতে সেতু নির্মাণ।
গোঘাটের ভাবাদিঘির একাংশ বুজিয়ে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল সংযোগ নিয়ে আপত্তি তুলে আন্দোলনে নেমেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এ দিন মমতা ফের বলেন, ‘‘মানুষ যা চাইবেন, তাই হবে। সিপিএমের ক’জন চাইবেন না বলে রেলপথ হবে না! যাঁরা বাধা দিচ্ছেন, তাঁরা চিহ্নিত (আইডেন্টিফাই) হয়ে থাক। ওই অংশ জুড়ে গেলে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারিত হয়ে যাবে। রেলপথ হলে ওঁদের কী অসুবিধা? ওঁদের তো সব রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলাই হয়েছে।’’ এর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার জানান, মানুষ রেলপথ চাইছেন। কিন্তু সিপিএমের কিছু লোকের বাধায় ওই প্রকল্প আটকে গিয়েছে। পক্ষান্তরে, সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওখানকার মানুষ যদি দিঘি নষ্ট করতে না-চান, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এই কাজ করতে যাচ্ছেন কেন? ওখানে রেলপথের জন্য বিকল্প পরিকল্পনা তো নেওয়া যেতেই পারে।’’
গুসকরায় ওঠে ভাগীরথীতে সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ। কালনা ও নদিয়ার শান্তিপুরের মাঝে প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকা খরচে ওই সেতু তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। বৈঠকে পূর্ত দফতরের কর্তাদের কাছে ওই সেতুর বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেতুর নকশা তৈরি কিনা, জানতে চান। পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, জমির বিষয়টি স্থানীয় বিধায়কদের দেখতে বলা হয়েছে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মানুষ ভাল কাজই চান। কিছু রাজনৈতিক লোক ঢুকে গিয়ে প্রযোজন না থাকলেও বদমায়েশি করে। দেখে নিন। মানুষ চাইলে সেতু হবে, না চাইলে হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy