কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ভাস্কর দাসকে নিগ্রহকারী টিএমসিপি নেতা আদৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কি না, তা নিয়েই ধন্দ। রেজিস্ট্রেশন না হলেও প্রাক্তন ছাত্র হিসেবেই তিনি ছড়ি ঘুরিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ। তবুও ঘটনার দু’দিন পরে গৌরবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সংগঠন।
অভিযুক্ত ছাত্র গৌরব দত্ত মুস্তাফির দাবি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান সুদীপ দাসের অধীনে পিএইচডি শুরু করেছেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষকের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন না গৌরব। জয়পুরিয়া কলেজ থেকে রসায়নে অনার্স পাশ করে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে বায়োফিজিক্সে এমএসসি পড়তে ঢুকেছিলেন তিনি। সেই বিষয়ে পাশ করে গত বছর ছ’মাসের রুশ ভাষার সার্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। উপাচার্য এ দিন গৌরব সম্পর্কে জানিয়েছেন, ওই ছাত্র কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগীয় প্রধানের অধীনে গবেষণা করে বলে শুনেছি। তবে তার কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। বিভাগীয় প্রধানকে ফোন করা হলে ৪৫ মিনিট পরে ফোন করতে বলেন। কিন্তু পরে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ দিন যখন উপাচার্য ভাস্করবাবুর সঙ্গে কথা বলতে যান, তখন সুদীপবাবু গৌরবের হয়েই কথা বলছিলেন বলে শিক্ষকেরা জানিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হয়েও কোন এক্তিয়ারে পড়ুয়াদের পাশ-ফেলের বিষয় নিয়ে গৌরব কথা বলতে গিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজে টিএমসিপি নেতা গৌরবের খুবই দাপট। ২০১৩ সালে শঙ্কুদেব পণ্ডা টিএমসিপির সভাপতি থাকার সময় এসএফআই থেকে টিএমসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন গৌরব। এর পর রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ছাত্র সংসদের সভাপতিও হন। এখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপির দু’টি গোষ্ঠী। একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছাত্র সংসদের সভাপতি রুমানা আখতার। অন্য গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক লগ্নজিতা চক্রবর্তী। গৌরব রুমানা গোষ্ঠীর নেতা বলেই খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy