স্মৃতি: অরিজিৎ দাস।
নলহাটির বাসিন্দা, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অরিজিৎ দাসের মৃত্যুর ঘটনায় বর্ধমানের অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমের কাছ থেকে তাদের ঠিক করে দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্সের কাগজপত্র চেয়ে পাঠাল পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। শনিবার পূর্ব যাদবপুর থানার একটি তদন্তকারী দল বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে যায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমানের খোসবাগানের ওই নার্সিংহোম একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে অরিজিৎকে কলকাতায় পাঠায়। কিন্তু মাঝপথেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ওই ছাত্রের। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন হাসপাতালে পৌঁছলে চিকিৎসকেরা জানান, ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনায় অরিজিতের পরিবার ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করে পূর্ব যাদবপুর থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অ্যাম্বুল্যান্সে আসা চিকিৎসক আসলে এক জন এসি সারাইয়ের মিস্ত্রি।
এর পরেই ওই ভুয়ো চিকিৎসক ও অ্যাম্বুল্যান্স চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্নপূর্ণা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে শুরু হয় তদন্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে যে কয়েকটি বিষয় আপাতত দেখা হচ্ছে, সেগুলি হল: অরিজিৎকে যে অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেটি কাদের? আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স বলা হলেও তাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জাম ছিল কি? সেই অ্যাম্বুল্যান্সে কোনও টেকনিশিয়ান ছিলেন না কেন? কেনই বা এসি মিস্ত্রিকে ডাক্তার সাজিয়ে পাঠানো হল?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy