শিব চতুর্দশীর পুজো হচ্ছিল ঘটা করে। আচমকাই সেখানে হাজির হয় পুলিশ। কারণ পড়শিদের অভিযোগ ছিল, পুজোর আড়ালে আসলে বাড়ির নাবালিকা মেয়েটির বিয়ের আয়োজন হয়েছিল সেখানে। পুলিশ গিয়ে বিয়ে আটকে দেয়। আর তার পরেই জানতে পারে ওই নাবালিকা দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা৷ ঘটনাস্থল থেকে পাত্র অভিজিৎ মণ্ডল, ওই নাবালিকা ও তার বাড়ির লোকেদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷
জলপাইগুড়ির দক্ষিণ বেরুবাড়ির বিন্নাগুড়ি বিপি স্কুলের শিক্ষক অভিজিৎ। খারিজা বেরুবাড়ি অঞ্চলের ঘুঘুডাঙার বাসিন্দা তিনি৷ বছর খানেক আগে ওই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পান। স্কুলের কাছেই বাড়ি অন্তঃসত্ত্বা একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর৷ যার বয়স এখন ১৭ বছর৷ নাবালিকার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, কাজে যোগ দেওয়ার কিছু দিন পর থেকেই ওই নাবালিকার সঙ্গে মেলামেশা করেন ওই শিক্ষক৷ মাস দুয়েক আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা৷
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে ওই শিক্ষকের সঙ্গে নাবালিকার বিয়ে দিতে তার বাড়ির লোকজন উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু মেয়েটির বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় গোপনে সেই কাজ সারতে চেয়েছিলেন তাঁরা। এর জন্য শিব চতুর্দশীর রাতকেই বিয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়৷ পরিকল্পনা মতোই বুধবার বাড়িতে ঘটা করে পুজোর আয়োজন করেন। সন্ধ্যার পর নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে যায় অভিজিৎ৷ কিন্তু পাড়ার লোকেদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশও পৌঁছয়। পেশায় কাঠমিস্ত্রী নাবালিকার বাবা অবশ্য মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে মানতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy