ডানকুনির যুবক সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তলব করা হয়েছিল অ্যাপোলো হাসপাতালের ১৬ জন চিকিৎসককে। তাঁদের মধ্যে তিন চিকিৎসকের মধ্যেই নিজেদের তদন্ত সীমাবদ্ধ রাখছে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রের দাবি, সঞ্জয়ের চিকিৎসার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন ওই তিন চিকিৎসকই। সঞ্জয়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখে এবং ওই হাসপাতালের ১৬ জন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ওই তিন জনকে ঘিরেই এখন তদন্ত গুটিয়ে আনতে চলেছে তারা।
সঞ্জয়ের পরিবারের তরফে ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে অবহেলায় মৃত্যু এবং তোলাবাজির মামলা শুরু করে পুলিশ। সেই মামলায় একে একে তলব করা হয় ওই হাসপাতালের ১৬ জন চিকিৎসককে। তাঁদের মধ্যে তিন জনের ভূমিকা সন্দেহজনক মনে হয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। তাঁদের পরামর্শে এমন কিছু পরীক্ষাও করানো হয়েছিল, যার কোনও প্রয়োজন ছিল না বলে
তদন্তকারীদের অভিমত।
লালবাজার জানিয়েছে, ওই তিন চিকিৎসক এবং হাসপাতালের কোনও কোনও কর্তাকে ফের তলব করবেন তদন্তকারীরা।
তার আগে, মঙ্গলবার ফুলবাগান থানায় মৃত সঞ্জয়ের বাবা, মা, দাদা এবং দিদির বক্তব্য রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা। সঞ্জয় অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় ওই চার জন নিয়মিত সেখানে উপস্থিত থাকতেন। পুলিশি সূত্রের খবর, তখন হাসপাতালের চিকিৎসক এবং অন্য কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে কী রকম ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। কী ভাবে তাঁদের কাছ থেকে জোর করে চিকিৎসার টাকা চাওয়া হয়েছিল, সঞ্জয়ের পরিবারের লোকেরা এ দিন পুলিশকে
তা-ও জানিয়েছেন।
অ্যাপোলোর পাশাপাশি মেডিকা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগের তদন্তও চলছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন মেডিকায় মৃত যুবক সুনীল পাণ্ডের স্ত্রী সুজাতা। সুনীলের চিকিৎসার বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে তাঁর বক্তব্য জানতে চান তদন্ত কমিটির তিন সদস্য।
হৃদ্রোগের সমস্যা নিয়ে মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পাটুলির বাসিন্দা সুনীল। তার জেরে পরে তাঁর পা কেটে বাদ দিতে হয় বলে অভিযোগ। পা কেটে বাদ দেওয়ার পরেও ওই যুবককে বাঁচানো যায়নি। স্বামীর চিকিৎসায় গাফিলতির হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পলিশের দ্বারস্থ হন সুজাতা। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতর একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy