Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোদীর দফতরের নজরে ভাঙড়ের বিদ্যুৎ প্রকল্প

বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অগ্রগতি, সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার মতো বিষয়ের উপরে নজর রাখার পাশাপাশি কোনও প্রকল্প নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও চালায় ‘প্রোজেক্ট মনিটরিং গ্রুপ’।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৪
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রোজেক্ট মনিটরিং গোষ্ঠীর আওতায় এল ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প। বিশেষ সূত্রের খবর, জটিলতা কাটিয়ে মানুষের মতামত নিয়ে কী ভাবে এই প্রকল্প চালু করা যেতে পারে, তারই সমাধানসূত্র খুঁজছে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির অগ্রগতির উপরে নজরদারির কাজে নিযুক্ত এই গোষ্ঠী।

বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অগ্রগতি, সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার মতো বিষয়ের উপরে নজর রাখার পাশাপাশি কোনও প্রকল্প নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও চালায় ‘প্রোজেক্ট মনিটরিং গ্রুপ’। ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প নিয়ে একই ভাবে সমাধানসূত্র বার করতে চায় কেন্দ্র।

এক বছরের বেশি সময় ধরে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পটি স্থানীয় মানুষের আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ১৩ একর জমির উপরে পাওয়ার গ্রিডের সাবস্টেশন তৈরি হয়ে গিয়েছে বহুদিন। লাইন টানার জন্য বসে গিয়েছে টাওয়ারও। শুধু অল্প কিছু জায়গায় ‘হাইটেনশন লাইন’ টানার কাজ চলছিল। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বিহারের পুর্ণিয়া ও ফরাক্কা থেকে রাজ্যের গ্রিডে অতিরিক্ত ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা যাবে। বাড়বে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিদ্যুৎ পরিষেবার মানও।

কিন্তু এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করে জমি-জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও জমি রক্ষা কমিটি। তাদের সেই আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভাঙড়ের যাবতীয় কাজ। কমিটির অভিযোগ ছিল, হাইটেনশন লাইনের কারণে ভাঙড়ের পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। তার পর থেকে ভাঙড়ে ৩০০ কোটি টাকার সাবস্টেশনটি পড়ে রয়েছে। যেটুকু হাইটেনশন লাইন টানার কাজ বাকি, তা-ও হয়নি। প্রায় এক বছর অপেক্ষা করার পরে এ বার প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চাইছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নজরদারি গোষ্ঠী।

রাজ্য অবশ্য এই প্রকল্পটি নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতিই নিয়েছে। ভাঙ়ড়ের মানুষের ইচ্ছের উপরেই পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের ভবিষ্যৎ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রের বক্তব্য, রাজ্যের নীতিই হল, মানুষের আপত্তি উপেক্ষা করে কোথাও কোনও প্রকল্প গড়া হবে না। নবান্নের শীর্ষ কর্তারা অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এক কর্তা শুধু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই প্রকল্পটি সম্পর্কে রাজ্যের আগ্রহের কথা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। এ বার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নজরদারি গোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রকল্পের তালিকায় ভাঙড় প্রকল্পটিও সম্প্রতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের কর্তারাও যোগাযোগ করেছেন রাজ্যের সঙ্গে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE