প্রথম সেমেস্টার শেষ হতে চলেছে। কিন্তু রাজ্যের বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য উচ্চশিক্ষা দফতর এখনও ফি নির্ধারণ করে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ।
বিকাশ ভবনের খবর, বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যাতে যেমন খুশি ভর্তি ফি নিতে না-পারে, সেই জন্য কয়েক বছর আগে একটি কমিটি গড়া হয়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ফি হিসেবে কত টাকা নেবে, তা নির্ধারণ করে উচ্চশিক্ষা দফতরের ওই কমিটি। এ বছর তাদের ফি নির্ধারণের কাজ না-এগোনোয় বহু বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় যেমন খুশি ভর্তি ফি নিচ্ছে বলে অভিযোগ।
সামাজিক ও আইন সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন বিশ্বনাথ গোস্বামী। ফি-সমস্যা নিয়ে রাজ্যপাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব থেকে উচ্চশিক্ষা দফতর— সকলের কাছেই অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ আদায়ে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছিল সরকার। বেসরকারি স্কুলগুলিতে যথেচ্ছ ফি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। তারও আগে থেকে বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নজর পড়েছিল সরকারের। কিন্তু উচ্চশিক্ষা দফতরের কমিটি গঠনের পরে ফি বেঁধে দেওয়ার আসল কাজটা না-হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৭-’১৮ শিক্ষাবর্ষের ফি নির্ধারিত না-হওয়ায় পড়ুয়াদের অনেক বেশি টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ফি-নির্দেশিকা নিয়ে দাবি আর পাল্টা দাবিকে ঘিরে। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানাচ্ছেন, সেপ্টেম্বরেই এই বিষয়ে নির্দেশিকা এসে গিয়েছে। অন্য একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কিন্তু জানাচ্ছেন, ফি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি।
আর উচ্চশিক্ষা দফতরের খবর, ফি নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বৈঠকের তোড়জোড় চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy