ক্ষিপ্ত: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিকদের উপরে সোমবার পুলিশি লাঠি চালনার ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। জানিয়েছিলেন, তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে শাস্তি পাবেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার ও কর্মীরা। কিন্তু বুধবার দিল্লি যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরে সেই তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল।
এ দিন দিল্লি যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের উপরে পুলিশি হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘‘আমি এই প্রশ্নের জবাব দেব না।’’ এর পরে তিনি বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকে যান। অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, ফের প্রশ্ন করা হলে টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজনীতি করতে বারণ করুন গণশক্তির সাংবাদিকদের। গণশক্তির সংসর্গ ছাড়ুন!’’ অর্থাৎ লাঠি চালনার প্রতিবাদ করে সাংবাদিকেরা রাজনীতি করছেন বলেই বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় পুলিশ, বিজেপিও
সোমবার বামফ্রন্টের নবান্ন অভিযানে যে সব সাংবাদিক পুলিশের লাঠিতে আহত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সিপিএমের মুখপত্রের কোনও সাংবাদিক ছিলেন না। এমনকী পুলিশের লাঠি চালনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা যে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিলেন সেখানেও তাঁদের কেউ ছিলেন না। ওই মিছিলের পরে সংবাদিকদের একটি দল দেখা করতে গেলে পুলিশ কমিশনার তদন্তের আশ্বাস দেন। জানিয়ে দেন, আহত সাংবাদিকদেরও বয়ান নেওয়া হবে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার ফোন ধরেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, কমিশনার যেখানে আশ্বাস দিয়েছেন, সেখানে অন্য কেউ এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেন না।
সাংবাদিকদের যাতে পুলিশ চিনতে পারে, সে জন্য তাঁদের বিশেষ জ্যাকেট দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার। এ দিন লালবাজার থেকে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়— আজ, বৃহস্পতিবার তিনটি জায়গা থেকে সাংবাদিকদের জ্যাকেট দেওয়া হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের মন্তব্য এবং লালবাজার কর্তাদের মৌন থাকার জেরে সাংবাদিকদের একটা ব়ড় অংশ এই জ্যাকেট প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy