Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

১৫ দিনেই পাহাড় ছাড়লেন রাজ কানোজিয়া

তার আগে আরও পাঁচ আইপিএস অফিসারকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাহাড়ে পাঠানো হয়। দার্জিলিংয়ে সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, কার্শিয়াং-মিরিকে রণবীর কুমার ও হুমায়ুন কবীর এবং কালিম্পংয়ে অজয় নন্দকে রাখা হয়। এ ছাড়া ছিলেন জাভেদ শামিম।

রাজ কানোজিয়া।— ফাইল ছবি।

রাজ কানোজিয়া।— ফাইল ছবি।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ০৪:৪০
Share: Save:

পাহাড়ের পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ যখন নাজেহাল, তখন দার্জিলিং থেকে নেমে এলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি (হোমগার্ড ও কোস্টাল) রাজ কানোজিয়া। তাঁকে এ মাসের গোড়ায় বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাহাড়ে পাঠানো হয়েছিল। পক্ষকালের মধ্যেই কেন তিনি ফিরে এলেন, তা নিয়ে মুখে কুলুপ নবান্নের শীর্ষকর্তাদের।

রাজও একাধিকবার ফোন ধরেননি। এসএমএস করা হলেও জবাব দেননি। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র এজিডি (আইন-শৃঙ্খলা) অনুজ শর্মাকেও টেলিফোনে পাওয়া যায়নি। তবে নবান্নের এক কর্তার কথায়, ‘‘রাজ কানোজিয়া শীর্ষস্তরের অনুমতি নিয়েই ফিরে এসেছেন। ওখানে অনেক নতুন অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।’’

যদিও রাজ কানোজিয়ার পাহাড় ছেড়ে চলে আসা নিয়ে তুলকালাম চলছে পুলিশ মহলে। নবান্নের খবর, গত ৩০ জুন দার্জিলিং সংক্রান্ত বিশেষ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, রাজ কানোজিয়াকে মোর্চার আন্দোলন মোকাবিলার সর্বেসর্বা করে পাঠানো হবে। রাজ ওই বৈঠকে জানান, তিনি দায়িত্ব নিতে রাজি। কিন্তু স্বাধীন ভাবে বাহিনীকে কাজে লাগানোর ভার তাঁর হাতেই ছাড়তে হবে। তাতে প্রশাসন অরাজি ছিল না। তার পরেই ১ জুলাই দার্জিলিংয়ে পৌঁছন রাজ।

আরও পড়ুন: মুক্তকণ্ঠ বাংলা, বার্তা একুশের

তার আগে আরও পাঁচ আইপিএস অফিসারকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাহাড়ে পাঠানো হয়। দার্জিলিংয়ে সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, কার্শিয়াং-মিরিকে রণবীর কুমার ও হুমায়ুন কবীর এবং কালিম্পংয়ে অজয় নন্দকে রাখা হয়। এ ছাড়া ছিলেন জাভেদ শামিম।

পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ বাস্তবে কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারছিলেন না। পুলিশ ডিরেক্টরেটের নানা স্তর থেকে বিভিন্ন অফিসারের কাছে নানাবিধ নির্দেশ যেতে থাকে। ফলে পরিস্থিতি কোন পথে সামলানো হবে তা নিয়ে দিশেহারা হচ্ছিলেন ওখানকার পুলিশ কর্তারা। তাঁদের নেতা হিসাবে রাজও বিব্রত হতে থাকেন। রাজের ঘনিষ্ঠরা জানান, তিনি ‘কমান্ডহীন কমান্ডারে’ পরিণত হয়েছিলেন। নির্দেশ যাচ্ছিল কলকাতা থেকে। অথচ পাহাড়ে বসে থেকেও তাঁর কিছু করার ছিল না। বাধ্য হয়েই তিনি সবিনয়ে পাহাড় ছেড়ে চলে আসতে চান। নবান্নের শীর্ষস্তর থেকে জানানো হয়েছে, রাজ পাহাড়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। তা মেনে নেওয়া হয়।

সুবাস ঘিসিঙের আন্দোলনের সময় এই রাজই ছিলেন দার্জিলিংয়ের এসডিপিও। গুরুঙ্গদের আন্দোলনও দু’দফায় সামলেছেন তিনি। তাই তাঁকেই বেছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এ বার অন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন তিনি। নবান্নের শীর্ষস্তর থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, যে আশা নিয়ে পাঠানো হয়েছিল, অনেকেই সেই মতো ফল দিতে পারেননি। তাই কয়েকজন অফিসারকে সরাতে হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE