সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। নিজস্ব চিত্র।
এসেছিলেন রাজ্য সরকারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। সেখানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সেই সংবর্ধনা মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি।
এ দিন ওই মঞ্চ থেকে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘কৃষির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।’’ অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনের ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য রাজ্য সরকারের প্রশংসাও শোনা গেল রাষ্ট্রপতির গলায়। পাশাপাশি, এ দিনের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। নিজেকে বাংলার একজন ‘ভক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে এ দিন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘দেশে খুব কম মানুষ আছেন, বাংলা যাঁদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়নি। আসলে এ শহরের হৃদয় আছে।’’ রবীন্দ্রনাথ থেকে নেতাজির কথা উল্লেখ করে কোবিন্দের মন্তব্য, ‘‘জাতীয় পরিচিতির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। জাতীয় সঙ্গীত এই বাংলায় সৃষ্টি হয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অবদানের কথা কোনও ভাবেই ভোলা যায় না।’’
আরও পড়ুন: স্ত্রী ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন, হাদিয়াকে জানাল সুপ্রিম কোর্ট
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবির প্রশংসা শোনা গিয়েছে রাষ্ট্রপতির মুখে। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি দেখে আমি অবাক। এ ছবি চিরদিন আমার হৃদয়ের কাছে থাকবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে টাঙানো থাকবে বলেও এ দিন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বাংলার গর্বের রসগোল্লা, ফুটবলও জায়গা করে নিয়েছে তাঁর ভাষণে।
আরও পড়ুন: পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ, কোর্টে দাবি অভিষেকের, রাজনীতি ছাড়ার চ্যালেঞ্জও
মঙ্গলবারই দু’দিনের রাজ্য সফরে আসেন রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম পশ্চিমবঙ্গ সফর। বেলা একটা নাগাদ রাজ্য সরকারের তরফে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলুড় মঠ, জোড়াসাঁকো এবং বোস ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy