ইডি-র অফিসে গৌতম কুণ্ডু। —নিজস্ব চিত্র
ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এ বার কলকাতা হাইকোর্টও জানিয়ে দিল, রোজভ্যালি গ্রুপ অব কোম্পানিজ তাদের ২০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবে না। বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। রোজভ্যালির বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং’ আইনে তদন্তে নেমে ২০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সংস্থা-কর্তৃপক্ষ যাতে সেই সব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে না-পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির কাছে আর্জি জানান ইডি-র গোয়েন্দারা। সেই আবেদন মেনেই রোজভ্যালির টাকা তোলার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ। তার পরেই হাইকোর্টে যায় রোজভ্যালি। সেই মামলায় বিচারপতি এ দিন ব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার নির্দেশ দেন।
ইডি আদালতে জানায়, তারা ওই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করেনি। তারা চেয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা জমা দেওয়া গেলেও তা যাতে খোলা না-যায়, ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ তার ব্যবস্থা করুন। রোজভ্যালি সংস্থার আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন, তাঁরা ডিবেঞ্চার শেয়ার মারফত বাজার থেকে যে-পরিমাণ টাকা কিনেছেন, সেই পরিমাণ টাকা জমা রেখে বাকি টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে দেওয়া হোক। ইডি তার বিরোধিতা করে আদালতে জানায়, কত টাকা কী ভাবে অন্যত্র সরানো হয়েছে, এখন তারই তদন্ত চলছে। তাই ওই সব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হলে সেই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা থেকে যাবে। তাতে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সম্ভাবনাও কমতে থাকবে। গত সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। বিচারপতি পাথেরিয়া রায় ঘোষণা বাকি রেখেছিলেন।
মঙ্গলবারেই সল্টলেকে ইডি-র অফিসে যান রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। তাঁকে এ দিনও দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন ইডি অফিসারেরা। তাঁর কাছ থেকে যা যা নথি চাওয়া হয়েছিল, তার কয়েকটি নিয়ে যান গৌতমবাবু। তবে ইডি সূত্রের খবর, সেই সব নথি দেখে তদন্তকারীরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁর কাছে আরও বেশ কিছু নথি চেয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy