তাপস পাল
১ বছর ১ মাস ২ দিনের বন্দিদশা আপাতত ঘুচল। বৃহস্পতিবার কটক হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেতা তাপস পাল। আগামী সোমবার তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হতে পারে বলে পারিবারিক সূত্রের খবর।
২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর সল্টলেকে সিবিআইয়ের দফতরে ডেকে চার ঘণ্টা জেরার পরে রোজ ভ্যালি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৫৮ বছরের তাপসকে। সেই রাতেই বিমানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নন্দিনী। গ্রেফতারের পরে প্রথম ক’টা মাস জেলে ছিলেন ‘দাদার কীর্তি’র নায়ক। গত বছরের মার্চ থেকে ঠিকানা হয় হাসপাতাল। সেখানেও একমাত্র সঙ্গী ছিলেন নন্দিনীই।
এ দিন তাপসের জামিন পাওয়ার খবর শুনে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি। দৃশ্যত কোনও উচ্ছ্বাস-আবেগও ধরা পড়েনি নেতা-নেত্রীদের মধ্যে। দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন দিল্লিতে তাঁর দলের সাংসদদের কাছে তাপসের জামিনের খবর জানান। তাপসের সঙ্গেই রোজ ভ্যালি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সুদীপবাবু। অসুস্থ হয়ে ভুবনেশ্বরের একই হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। সেই সময়ে তাঁকে দেখতে ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করেছিলেন তাপসের সঙ্গেও। ইতিমধ্যে সুদীপবাবু জামিন পেয়ে রাজনীতিতে ফিরেছেন। কিন্তু শোনা যায়, তাপসের পাশে স্ত্রী ছাড়া সে ভাবে আর কেউ ছিলেন না। শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্রমশ ভেঙে পড়ছিলেন তিনি।
এ দিন নন্দিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁদের আইনজীবীরা ভুবনেশ্বর থেকে জানিয়েছেন, আদালতকে বলা হয়েছিল, তাপস অসুস্থ। নামী এই অভিনেতা জামিন পেলে পালিয়েও যাবেন না। সিবিআই কোনও প্রয়োজনে ডাকলে তিনি আসবেন। এ দিন এক কোটি টাকার জামিনে মুক্তি পান তাপস। আইনজীবীদের দাবি, গত এক বছরে সিবিআইয়ের তদন্তে আদালত পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারই ফল এ দিনের জামিন।
সিবিআইয়ের পাল্টা যুক্তি ছিল, সাংসদ হয়েও ডিরেক্টর হিসেবে নিয়মিত রোজ ভ্যালি থেকে বেতন নিয়েছেন তাপস। তা ছাড়া, সাংসদের প্যাডে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পশ্চিমবঙ্গের অন্য অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সময়ে রোজ ভ্যালির নাম করেননি তিনি। তবে এ দিন সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা উচ্চ আদালতে তাপসের জামিনের বিরোধিতা করবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy