দলবদল: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ধীরেন্দ্রনাথ লায়েক। ছবি: অভিজিৎ সিংহ।
তৃণমূলে যোগ দিলেন আরও এক বাম বিধায়ক। বাঁকুড়ার ছাতনার আরএসপি বিধায়ক ধীরেন্দ্রনাথ লায়েক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। শুক্রবার রাইপুরের হলুদকানালিতে জনসভা ছিল যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ধীরেন্দ্রনাথবাবুর হাতে সভামঞ্চে দলের পতাকা তুলে দেন অভিষেক। এর আগে মালদহের গাজলের সিপিএম বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় জঙ্গলমহলের তিনটি কেন্দ্র বাদে বাকি ন’টিতে জেতে তৃণমূল। পাঁচ বছর পরে জঙ্গলমহলের তিনটি আসন তৃণমূল দখলে আনতে পারলেও, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে কংগ্রেস, সোনামুখী ও বড়জোড়ায় সিপিএম এবং ছাতনায় আরএসপি প্রার্থীর কাছে হারতে হয়। ফল হয় তৃণমূলের সাত, বিরোধীদের পাঁচ।
২০১৬-র ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন। পরে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান বাঁকুড়ার কংগ্রেস বিধায়ক (আগে তৃণমূলেই ছিলেন) শম্পা দরিপা। এ বার তালিকায় যুক্ত হল ধীরেন্দ্রনাথবাবুর নাম। মঞ্চে তাঁদের পাশে নিয়ে অভিষেক ঘোষণা করেন— ‘‘বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়ার বিধায়কে আগেই এসে গিয়েছেন। এ বার ছাতনাও চলে এলেন। রইল বাকি দুই। এর পরে ১২-০ করে যাব।’’
যদিও দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী, কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বিধানসভা বা লোকসভায় যে দলের প্রতীকে জিতেছেন, কাগজে-কলমে তাঁকে সেই দলের সদস্য হিসেবেই থাকতে হবে। নতুবা তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে। এ ক্ষেত্রেও যে বিধায়কেরা অন্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের বিধানসভার ভিতরে এখনই তৃণমূলের সদস্য বলে হিসাব করা যাবে না। নীতিগত ভাবে তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আরএসপি-র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক গঙ্গা গোস্বামীরও চ্যালেঞ্জ, ‘‘ক্ষমতা থাকলে ধীরেন্দ্রনাথবাবু পদত্যাগ করে ফের ভোটে লড়ুন।’’ ধীরেন্দ্রনাথবাবু শুধু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শ ও অভিষেকের তারুণ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy