জলে ডুবেই নৈহাটির বাসিন্দা সঞ্জয় দাসের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকরা এমনটাই জানিয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। পুলিশের দাবি, সেই সঙ্গে ওই যুবকের দেহে কোন আঘাতের চিহ্নও ময়নাতদন্তে মেলেনি বলে চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখার পর পুলিশের অনুমান, ওই যুবক আত্মহত্যাই করেছেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে বিদ্যাসাগর সেতুর নীচে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে সঞ্জয়ের দেহ উদ্ধার করে দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ। তাঁর পকেট থেকে উদ্ধার করা হয় কাঁচড়াপাড়ার একটি কলেজের পরিচয়পত্র। ওই পরিচয়পত্রের সূত্র ধরেই বুধবার সকালে সঞ্জয়ের দেহ শণাক্ত করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন
মৃত্যুতে বেটিংয়ের ছায়া, সঞ্জয় যেন জন্নত-এর অর্জুন
বুধবার দেহ শণাক্ত করার পর সঞ্জয়ের পরিবারের দাবি ছিল, বছর দুয়েক আগেই সঞ্জয় ক্রিকেট বেটিংয়ের একটি সিন্ডিকেটে জড়িত হয়ে পড়েন। আর ওই সিন্ডিকেটে মাস তিনেক আগে দু’লক্ষ টাকা খুইয়ে ছিলেন তিনি। পুলিশের দাবি, মাস তিনেক আগে ওই দু’লক্ষ টাকা হারানোর পর সঞ্জয় তাঁর স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, অনলাইন ব্যবসা-ট্যবসা নয়, তিনি আসলে ক্রিকেট জুয়ায় জড়িত। দু’লক্ষ টাকা হারানোর পর থেকেই সঞ্জয় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পুলিশ জেনেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর পুলিশ জানতে পেরেছে, এর আগেও দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সঞ্জয়। তবে কাঁচড়াপাড়া থেকে এত দুরে এসে কেন আত্মহত্যা করলেন তিনি, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া, কবে সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে তা-ও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সঞ্জয় গত শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর আর তাঁর খোঁজ না মেলায় ওই দিনই পরিবারের তরফে নৈহাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy