প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণবঙ্গে আছে ছ’টি। উত্তরবঙ্গে মাত্র একটিই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। এই অবস্থায় রাজ্যের আরও একটি জেলকে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সেটি উত্তরবঙ্গেই। রাজ্যের কারা দফতর একটি বিজ্ঞপ্তিতে বালুরঘাট জেলকে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার করার কথা জানিয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে সেন্ট্রাল জেলের সংখ্যা হল আট।
এখন রাজ্যে যে-সাতটি সেন্ট্রাল জেল রয়েছে, তার ছ’টিই দক্ষিণবঙ্গে। সেগুলি হল বহরমপুর, বর্ধমান, মেদিনীপুর, প্রেসিডেন্সি, আলিপুর এবং দমদম সেন্ট্রাল জেল। উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি ছাড়া কোনও কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার নেই। এক কারাকর্তার কথায়, ‘‘উত্তরবঙ্গে বন্দির সংখ্যা বাড়ছে। অনুপ্রবেশের সমস্যা তো আছেই। তার সঙ্গে পাহাড়ের সমস্যা যোগ হয়েছে। তাই উত্তরবঙ্গে আরও একটি সেন্ট্রাল জেল দরকার।’’
কারা দফতরের খবর, বাংলাদেশি আসামির চাপে রাজ্যের জেলগুলিতে প্রতি বছরই বন্দির সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিটি জেলেই বন্দির সংখ্যা ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। অথচ জেলা বা সাব-জেলে বন্দির সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যাপ্ত রক্ষীর নেই। ফলে ওই সব জেলে অপরাধের সংখ্যা বা়ড়ছে। বাড়ছে জেল-পালানোর ঘটনাও। এই সব ঘটনায় রাশ টানতেই বালুরঘাটকে সেন্ট্রাল জেলে উন্নীত করা হচ্ছে। একই কারণে বর্ধমান জেলকে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালে পূর্বতন সাব-জেল ভবন হস্তান্তরিত করে বালুরঘাট শহরের বাইরে নতুন ভবন তৈরি করে জেলা জেল গড়া হয়। সেখানে মোট ৬১৫ জন বন্দি রাখার পরিকাঠামো ছিল। বাড়তি জায়গা থাকায় ঠিক হয়, পরিকাঠামো বাড়িয়ে ১৫০০ বন্দি রাখা হবে এবং সেন্ট্রাল জেলে উন্নীত করা হবে। মালদহ, দুই দিনাজপুরের দণ্ডিত বন্দিদের আনা যাবে এখানে।
‘অমানবিক ভাবে’ বন্দি রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে-ক’টি জেলকে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে আছে মালদহ জেলা জেল। ৫০০ বন্দি রাখার কথা। কিন্তু ওই জেলে বন্দি আছেন এক হাজারেরও বেশি। সেখান থেকে কিছু বন্দিকে বালুরঘাটে সরানো যাবে বলে মনে করছেন কারা দফতরের আধিকারিকেরা।
রাজ্যের কারা দফতরের ডিজি অরুণকুমার গুপ্ত বলেন, ‘‘সেন্ট্রাল জেল হলে অনেক বেশি বন্দি রাখা যাবে বালুরঘাটে। রক্ষী-সংখ্যা বাড়বে। বাড়বে নিরাপত্তাও।’’ ভবিষ্যতে বহরমপুর সার্কেল ভেঙে বালুরঘাটকে পৃথক সার্কেল করার ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy