তৎপরতা: রাজনাথ সিংহ আসার আগে পুলিশি ব্যস্ততা। নিজস্ব চিত্র
সকালটা ছিল নেহাতই সাদামাঠা, আর পাঁচটা দিনের মতো। সরকারি কর্মীদের নবান্নে ঢোকা-বেরোনোয় কড়াকড়ি থাকলেও বাড়াবাড়ি ছিল না। কিন্তু বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই নবান্ন সভাঘরকে কেন্দ্র করে গোটা চত্বর চলে যায় শ’তিনেক বন্দুকধারী পুলিশের দখলে। দুপুর ২টো ৫০ নাগাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নবান্নে ঢোকা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তাঁর বেরোনো ইস্তক একই রকম নিরাপত্তায় মোড়া ছিল নবান্ন।
রাজনাথ তো বটেই, সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ, মিজোরাম ও অসমের মুখ্যমন্ত্রীরাও। ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গওবাও। পৌনে ৩টে থেকে তাঁরা আসতে শুরু করেন। প্রথমে আসেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালথানওয়ালা। তার পরে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ সনওয়াল। রাজনাথের গাড়ি নবান্নের পোর্টিকোয় পৌঁছলে ফুলের তোড়া দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরীয় পরিয়ে দেন। উপহার দেন ডোকরার দুর্গামূর্তি। এর পরে দু’জনে হেঁটে কথা বলতে বলতে সভাঘরে যান। পাহারায় ছিলেন ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডের এক দল জওয়ান।
বৈঠক শেষের পরে ফের রাজনাথ ও মমতা হেঁটে নবান্নে আসেন। তার পরে রাজনাথকে নবান্নের চোদ্দোতলায় নিজের ঘরে নিয়ে যান মমতা। সেখানে ১৫ মিনিট দু’জনের একান্তে কথা হয়। নবান্ন থেকে বেরোনোর সময়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ‘হাই প্রোফাইল’ বৈঠককে ঘিরে এ দিন সাজসাজ রব ছিল নবান্নে। বৈঠক শুরুর আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সভাঘরের নিরাপত্তা খুঁটিয়ে দেখেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। যে পথ দিয়ে রাজনাথ সভাঘরে পৌঁছন, অনেক আগে থেকেই সেখানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করে দেওয়া হয়। সকালে গোটা এলাকা চক্কর দিয়ে রাস্তাঘাট সরেজমিন খতিয়ে দেখেন ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডের পদস্থ আধিকারিকেরা। লালবাজার থেকে যায় একাধিক স্নিফার ডগ। সভাঘরে যাওয়ার রাস্তায় সমস্ত গেটেই ছিল ‘ডোরফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর’। দুপুর ১২টায় সভাঘরের দিকে নবান্নে ঢোকার গেট সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বিভিন্ন কাজে আসা বাইরের লোকজনকে ঢোকানো হয় নর্থ গেট দিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy