প্রতীকী ছবি।
সময় বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের বিষয়, ধরনও। সময়ের সেই দাবি মেনেই মেয়েদের একান্ত নিজস্ব কিছু বিষয়কেই আন্দোলনের উপজীব্য করছে এসএফআই। সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের শৌচাগার তৈরি, স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানোর দাবিকে সামনে রেখে পথে নামছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। যার রূপরেখা ঠিক করতে শুধু ছাত্রীদের নিয়ে কনভেনশনেরও আয়োজন হচ্ছে।
ছাত্রীদের নিজস্ব দাবি নিয়ে অন্য ধারার আন্দোলনের পথে যাওয়ার লক্ষ্যে আগামী ৭-৮ জানুয়ারি চন্দননগরে রাজ্য ছাত্রী কনভেনশন ডেকেছে এসএফআই। ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন নেত্রী এবং এখন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা বসু ঘোষ কনভেনশনের সূচনা করবেন। শেষ দিন চন্দননগরে সমাবেশে এসএফআই নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে থাকবেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাসের কথায়, ‘‘শিক্ষা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে চাই আমরা। তবেই সংগঠন বাঁচবে।’’
তার আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এসএফআইয়ের উদ্যোগে কাল, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে একই ধরনের ছাত্রী কনভেনশনে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রিয়াঙ্কা সরখেল। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদি বলেন, “সময়ের সঙ্গে মানানসই দাবিতেই পথে নামতে হবে।”
রাজ্য জুড়ে এক সময়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিপত্য ছিল এসএফআইয়ের। রাজ্যে পালাবদলের পরে সেই সুদিন গিয়েছে। হাতে গোনা কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদে ক্ষমতায় রয়েছে তারা। নতুন বছরের গোড়ায় ফের ছাত্রভোটের আগে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি ফিরে পেতেই কি নতুন এই বিষয় নিয়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা? এসএফআইয়ের এক নেতার জবাব, “সব স্কুল-কলেজে মেয়েদের শৌচাগার ও স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন থাকাটা জরুরি। সংগঠন সেই দাবিই জানাচ্ছে।” ওই নেতার আরও বক্তব্য, ক্ষমতার রাজনীতির বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত দাবিতেই তাঁরা এখন নজর দিতে চান। হুগলির জন্য যেমন আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ে ওই জেলার কলেজে কলেজে এসএফআই সরব হচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলে অর্থ এবং সচেতনতার অভাবে বেশির ভাগ স্কুল-কলেজ ছাত্রী ঋতুকালীন রক্তস্রাবের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে না। মাসের বিশেষ ওই দিনগুলোয় অপরিচ্ছন্ন কাপড় ব্যবহারের ফলে ঝুঁকি থেকে যায়। তাই ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা মাথায় রেখেই জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি, ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নিরাপত্তা, বাল্যবিবাহ ও স্কুলছুটের প্রবণতা রোখা, কন্যাশ্রীর টাকা যাতে উচ্চশিক্ষা খাতেই ব্যবহার হয়, তার জন্য সরকারি নজরদারির দাবিতেও আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy