হাসিমুখে: হেলমেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখে কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার গোসাবার হ্যামিলটন ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী সভা করেন। সেখানে তিনি দু’টি সেতু-সহ ঝড়খালিতে কটেজ তৈরির কথা ঘোষণা করেন।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানান, গোসাবা-গদখালিতে সেতু তৈরি হবে। ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। পাঠানখালি বড় প্রিয় জায়গা মুখ্যমন্ত্রীর। কলেজে পড়াকালীনও তিনি পাঠানখালি কলেজে আসতেন বলে জানান। সেই পাঠানখালিতেও সেতু তৈরির কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘সুন্দরবনের মানুষের যন্ত্রণা আমি জানি। সুন্দরবনকে আমি ভালবাসি।’’
শুধু সেতু নয়, এ দিন তিনি ঘোষণা করেন, ঝড়খালিতেও বেশ কয়েকটি কটেজ তৈরি করা হচ্ছে। ঝড়খালির সঙ্গে নাম মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এর নাম রেখেছেন ‘ঝড়’। এখানে কটেজগুলি তৈরি হলে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে মনে করেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কটেজগুলি চালু হলে ব্যবসাও বাড়বে। স্থানীয় মানুষের আয় বাড়বে। অর্থনীতির উন্নতি হবে।’’
সুন্দরবন এখন পুলিশ জেলা হয়েছে। সুন্দরবনকে আলাদা জেলা করারও পরিকল্পনা আছে তাঁর। তবে এ দিন স্পষ্ট ভাবে তিনি জানিয়ে দেন, সুন্দরবনকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার কথা। সে জন্য টাকাও দেবেন তিনি। কিন্তু কাজ করতে হবে। কাজে খামতি তিনি সহ্য করবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘টাকা দিলাম, অথচ কাজ হল না। কিন্তু নথিভুক্ত করা হল যে কাজ হয়েছে। এটা কিন্তু আমি সহ্য করব না।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছি। সমাজের ৯০ শতাংশ মানুষ কোনও না কোনও ভাবে সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন।’’ যদিও মুখ্যমন্ত্রীর অভিজ্ঞতা, তা নিয়েও কিছু লোকের ক্ষোভ আছে। বিশেষ করে, সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়া নিয়ে অনেকে বাধা দিয়েছেন বলেও তিনি জানান। মমতা জানান, সাইকেল রাজ্য নিজের তহবিল থেকে দেয়। কেন্দ্রের কোনও টাকা এই কাজে নেওয়া হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy