জলে ডুবে কিষাণগঞ্জ রেল স্টেশন।—নিজস্ব চিত্র
চার দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের স্বাভাবিক জনজীবন। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে প্রবল বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু সমান জল, তো কোথাও কোমর সমান। ফুলেফেঁপে উঠেছে একাধিক নদী। প্রবল বৃষ্টির জেরে রেল লাইনে জল জমে যাওয়ায় বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। পাশাপাশি, একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে— শিলিগুড়ি-মালদহ, শিলিগুড়ি-বালুরঘাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, শিলিগুড়ি-রাধিকাপুর-শিলিগুড়ি ডিএমইউ, হলদিবাড়ি-কলকাতা ট্রাই উইকলি এক্সপ্রেস। বিভিন্ন স্টেশনে যে দূরপাল্লার ট্রেনগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে সেগুলো হল— ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সেপ্রেস ( কোচবিহার স্টেশনে), আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা, আপ পদাতিক (নিমতিতা স্টেশনে)। প্রবল বৃষ্টিতে বিহারের কিষাণগঞ্জ রেললাইন পুরোপুরি জলের তলায়।
বাতিল ট্রেনের তালিকা
কোচবিহারের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। জল বাড়ছে তোর্সা, রায়ডাক, সঙ্কোশ নদীতে। পাশাপাশি, কালজানি নদীতেও জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। নদী সংলগ্ন অধিকাংশ গ্রাম জলমগ্ন। সেতু ভেঙে পড়ায় ফালাকাটা-আলিপুরদুয়ার রাস্তা বন্ধ যান চলাচল। খোলা হয়েছে ৬০টির বেশি ত্রাণ শিবির। গোটা জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লক্ষ মানুষ। উদ্ধার কাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, এসএসবি এবং সিআরপিএফ।
আরও পড়ুন:বর্ষার ধূপগুড়িতে সব দল এক ছাতায়
আরও পড়ুন:বন্যার আতঙ্ক উত্তর জুড়ে
জলে ডুবে কিষাণগঞ্জ রেল স্টেশন
ইতিমধ্যেই তিস্তা ব্যারেজ থেকে আড়াই হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ভুটানে বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল আরও বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জল বেড়ে গেলে নদী সংলগ্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জলঢাকা নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ধূপগুড়ি পুর এলাকায় অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় জল নামতে শুরু করেছে। জলঢাকা, ডুডুয়া, গিলান্ডি নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার নদী সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy