প্রহরী: সেনার কড়া পাহারায় নজরবন্দি পাহাড়। রবিবার দার্জিলিঙে। ছবি: এএফপি।
শোক মিছিলে গোটা পাহাড়কে থাকতে হবে, ডাক দিয়েছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। সেই মতো এ দিন চকবাজারে টানটান উত্তেজনার মধ্যে শনিবার নিহত দুই মোর্চা কর্মীর দেহ নিয়ে মিছিল হয়। সেখানে ‘এসপি গো ব্যাক’ তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েও স্লোগান দেওয়া হয়। হাজির ছিল প্রচুর পুলিশ ও আধা সেনা। শেষ অবধি বড় কোনও গোলমাল হয়নি।
যদিও দার্জিলিঙে এই মিছিলের পরে খুবই উৎসাহিত মোর্চার মাঝারি নেতারা। তার কারণও ছিল। একে তো গুরুঙ্গের ডাকে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার আষ্টেক লোক এসেছিলেন দার্জিলিঙে। তার উপরে সকালে সংখ্যালঘুদের একটি শান্তি মিছিল হয়। সেখান থেকেও গোর্খাল্যান্ডের দাবি ওঠে। কার্শিয়াং, কালিম্পঙেও মিছিল করে মোর্চা।
মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্ব যেখানে হাজির নেই, সেখানে এত বড় মিছিল ও জমায়েত থেকে বোঝা যাচ্ছে, হারানো জমি আবার গুছিয়ে এনেছে দল— মনে করছেন মোর্চার অনেকেই। নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেই মোর্চা বিধায়ক অমর সিংহ রাই বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পাহাড় থেকে এত নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিলেই পাহাড় স্বাভাবিক হবে। আমরাও আলোচনায় বসার কথা ভাবব।’’
আরও পড়ুন: পাহাড় নিয়ে শান্তি-বার্তা রাজনাথ সিংহের
এ দিনের মিছিল থেকে সমতলের সংবাদমাধ্যকেও ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়। পরে অমর বলেন, ‘‘আমাদের দল কোনও মিডিয়ার বিরুদ্ধে নয়। তবে সবাইকে অনুরোধ করব, নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুন।’’ পাহাড়ে এর মধ্যে ইন্টারনেট নিয়েও গোলমাল শুরু হয়। দার্জিলিঙেও দীর্ঘক্ষণ নেট পাওয়া যায়নি।
উল্টো দিকে, এ দিন বড় কোনও গোলমাল না হওয়ায় স্বস্তিতে পুলিশও। তিন ঘণ্টা ধরে স্লোগান পর্ব এবং পরে চকবাজার জুড়ে এই মিছিল হাওয়া গরম করার পক্ষে যথেষ্টই। অবশ্য পুলিশের বক্তব্য, শোক মিছিল নিয়ে তারা কোনও প্রতিরোধের রাস্তায় যাবে না, এটাই ছিল সিদ্ধান্ত। যদিও যে কোনও উত্তেজক পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুলিশ, আধা সেনা ও সেনা জওয়ানরা চকবাজার লাগোয়া প্রতিটি বাড়ি, গলির উপরের চাতাল, ছাদ, ব্যালকনির দখল নিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy