চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। আসেননি। এ বার তাঁকেই টেলি-সম্মানের ‘হল অব ফেম’ পুরস্কার দিতে চায় রাজ্য সরকার। সিদ্ধান্ত খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সেই পুরস্কার নিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।
তৃণমূল সরকারের সঙ্গে সৌমিত্রর সম্পর্কে ‘শীতলতা’ নতুন নয়। এ বছর চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সরকার। তিনি আসেননি। এ প্রসঙ্গে সোমবার সৌমিত্র বলেন, ‘‘ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের একটা কার্ড পাঠিয়েছিল। ওটা কি ডাকা হল? ওই ভাবে বললে বা ডাকলে আমি কোথাও যাই না।’’
আর সরকারি টেলি-সম্মান?
সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘কেউ এ বিষয়ে কিছু জানাননি এখনও। তবে ওই সময়টায় আমি কলকাতায় থাকব না। অন্য কাজ রয়েছে।’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও পুরস্কার গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিয়ে স্পষ্ট করে অবশ্য কিছু বলেননি তিনি।
নবান্ন সূত্রের খবর, এ বছর ‘হল অব ফেম’ পুরস্কারের জন্য আরও তিন জন নির্বাচিত হয়েছেন— সব্যসাচী চক্রবর্তী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও মাধবী মুখোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে সব্যসাচী বাম-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হলেও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সরকারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কমছে। দিন কয়েক আগেই সব্যসাচীর তোলা ছবির প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন মমতা।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, টিভি সিরিয়ালে অভিনয়ের জন্য এ বছর টেলি-সম্মান পাবেন বাদশা মৈত্র ও চন্দন সেন। দু’জনেই ঘোষিত বামপন্থী। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বামেদের সমর্থনে কথা বলতে তাঁদের নিয়মিত দেখা যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, মমতার মতে শিল্পী হিসেবে উৎকর্ষ এবং অবদানের জন্যই এই পুরস্কার। প্রাপকের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বা রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। সেগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।
আগেও এই সরকারের দেওয়া টেলি-সম্মান পেয়েছিলেন বাদশা। সে বার অনুষ্ঠানে নিজে না থাকলেও তাঁর হয়ে অন্য এক জন সেই পুরস্কার গ্রহণ করেন। বাদশার ইচ্ছে অনুসারে পুরস্কারমূল্য যায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। ফের একই পুরস্কার তিনি পেতে পারেন, এ দিন সে কথা বিশ্বাস করতেই চাননি তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আগে এক বার এই পুরস্কার পেয়েছি। আবার আমাকে দেবে বলে তো মনে হয় না। এ নিয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়ওনি।’’ জানানো হলে কি পুরস্কার নেবেন? বাদশা বলেন, ‘‘এ বারও ওই সময়টায় শহরে থাকছি না। তবে পুরস্কার পেলে আগের বারের মতোই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিতে চাই।’’
চন্দনবাবুকে এ দিন ফোনে পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy