বালি, কয়লা এবং গরু পাচারের মতো বিভিন্ন ‘অসাধু’ ব্যবসার কথা তুলে তৃণমূলকে ইতিমধ্যেই নানা ভাবে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। এ বার এ সব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বর্ধমানে শুক্রবার দলীয় বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন বিজেপি-র রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যে নৈরাজ্য বন্ধ করতে চাই। অতএব, বালি, কয়লা এবং গরু পাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আমাদের তো রিপোর্ট দিতেই হবে!’’ স্থির হয়েছে, রিপোর্টে বিভিন্ন জেলার নাম করে করে অবৈধ বালি খাদান, কয়লা এবং গরু পাচার সংক্রান্ত ‘নির্দিষ্ট তথ্য’ প্রথমে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পরে তা পৌঁছবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। সেখানে অভিযোগের অভিমুখ থাকবে তৃণমূলের দিকে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় গত ৩০ নভেম্বর আসানসোলে অভিযোগ করেছিলেন, কয়লার সিন্ডিকেট থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭-১৮ কোটি টাকা পান। তার জন্য এ দিন বাবুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন অভিষেক। তৃণমূলের ওই সাংসদ সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছিলেন মুকুল রায়ও। তিনি ফের এ দিন বর্ধমানে বলেন, ‘‘যা বলেছি, তা নথি মোতাবেক।’’ তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এ সব ‘কুৎসা’কে কোনও রকম আমল দিতে চাননি। এক নেতার কথায়, ‘‘কে কী প্রলাপ বকল, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।’’
বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বর্ধমান পূর্ব, আসানসোল, বীরভূম, বোলপুর এই ৮টি লোকসভা আসনের পালক, সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির সভাপতি ও পর্যবেক্ষক, রাঢ় বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংগঠন শিবপ্রকাশ। বিজেপি সূত্রের খবর, সেখানে বুথ স্তরের সংগঠন নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশিই, তৃণমূলের সন্ত্রাস, পুলিশের ‘দলদাসত্ব’ এবং বালি-কয়লা-গরুর ‘অবৈধ’ কারবার নিয়ে কৈলাসদের কাছে অভিযোগ করেন রাজ্য নেতৃত্ব।
রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন নিয়ে মুকুলের বক্তব্য, ‘‘এসপি-ডিএম’রা কত ক্ষণ তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেন, দেখা যাবে। বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছলে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পথও খোলা রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy