শেষ পর্যন্ত বিজেপি-র মোকাবিলায় ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ঐক্য গড়ে তোলার পক্ষেই সায় দিল রাজ্য সিপিআই। দলের ২৬তম রাজ্য সম্মেলন থেকে যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তাতে কংগ্রেসের জন্য এই বাম শরিক দলের দরজা খোলাই থাকছে। একই সঙ্গে সম্মেলনে সিপিআই বলেছে, এ রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি-কে পরাস্ত করতে সর্বশক্তি দিয়ে লড়তে হবে। গড়ে তুলতে হবে ব্যাপকতম ঐক্য।
সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে তোলারই পক্ষে। রাজ্য সম্মেলনের রাজনৈতিক প্রতিবেদনে অবশ্য বাংলার সিপিআই সেই বার্তা দিয়েও পার্টি কংগ্রেসের উপরেই ভার ছে়ড়ে দিয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়ার পক্ষে ও বিপক্ষে প্রতিনিধিদের মত নিয়ে চার দিন ধরে তমলুকে রাজ্য সম্মেলনে বিতর্ক হয়েছে। শেষ দিনে জবাবি ভাষণে দলের রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পণ্ডা বলেছেন, ‘‘ঘরে এখন আগুন লেগেছে। বালতি করে যারা জল ঢালতে আসবে, তাদের কাউকে না বলব কী করে!’’ নাম না করলেও প্রবোধবাবুর এই বক্তব্য কংগ্রেসকে মাথায় রেখেই, এমনই মত সিপিআই নেতৃত্বের।
কংগ্রেসকে এখন যে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ঐক্যের বড় অংশীদার হিসাবে প্রয়োজন, প্রবোধবাবুর আগেই সেই মর্মে সম্মেলনে ভিত রচনা করেছেন বর্ষীয়ান নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত। সম্মেলনে তাঁর বক্তব্য ছিল, অনেকেই বলেন অর্থনীতির প্রশ্নে কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যে কোনও ফারাক নেই। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। বিজেপি-র অর্থনীতিও উগ্র দক্ষিণপন্থী, যা কংগ্রেসের নয়। দীর্ঘ দিন শ্রমিক ইউনিয়নের রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা থেকেই ওই মত দিয়েছেন গুরুদাসবাবু।
এ বারের সম্মেলন থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন প্রবোধবাবুই। আগের ১২৫ জনের রাজ্য পরিষদের কলেবর ছোট হয়ে এ বার ১০২ জনের কমিটি হয়েছে। পরবর্তী রাজ্য কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকের পরে নতুন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। দলীয় সূত্রের খবর, এপ্রিলে কোল্লম পার্টি কংগ্রেসের আগেই ওই কাজ সেরে ফেলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy