রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষার বুনিয়াদি স্তরে ঘাটতি আছে বলে মত শিক্ষা মহলের।
বুনিয়াদি স্তর অর্থাৎ প্রাক্ প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয়— এই তিন শ্রেণিতে যা শেখানো হচ্ছে তার গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করেন শিক্ষাবিদেরা। রাজ্যের সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদারের মত-ও তাই। তাঁর মতে, এ জন্য শিক্ষকদের নিবিড় প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। কারণ, এই তিন শ্রেণির শিক্ষাই মূল শিক্ষার ভিত্তি। খেলার ছলে তিন শ্রেণিতে লেখাপড়ার বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
শিক্ষা মহলের মতে এ রাজ্যে এই তিন ক্লাসে পড়াশোনার ব্যবস্থা থাকলেও পঠন-পাঠনে ঘাটতি আছে। ২০০৪-এ এই তিন ক্লাসের জন্য ‘মজাড়ু’ ও ‘আমার বই’ সিলেবাস কমিটি গড়েছে। শিক্ষকেরা এই তিন ক্লাসে কী ভাবে পড়াবেন, তার জন্য একটি নির্দেশমূলক বইও প্রকাশ করা হয়েছে। এর পরেও বুনিয়াদি শিক্ষায় ঘাটতি থাকছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এ প্রসঙ্গে অভীকবাবু বলেন, ‘‘এর জন্য শিক্ষকদের তালিম অবশ্যই প্রয়োজন। পাশাপাশি, নিয়মিত এই সব পড়ুয়ার ক্লাস নেওয়াও জরুরি।’’
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, রাজ্যের স্কুলগুলিতে বুনিয়াদি শিক্ষার বিষয়টি অবহেলিত। বেসরকারি স্কুলগুলিতে এর গুরুত্ব থাকলেও সরকারি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব পাচ্ছে না।
অভীকবাবুর বক্তব্য, এই স্তরে যথাযথভাবে পড়ানো না হলে পরবর্তী ক্লাসে ড্রপ আউটের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ ভিত্তি যদি শক্তপোক্ত না হয়, পড়াশোনায় আগ্রহ এবং আনন্দ কোনওটাই পড়ুয়ারা পায় না।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) জাতীয়
স্তরে এই বিষয়ে আলোচনার ডাক দিয়েছে। শিক্ষক, গবেষক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এই আলোচনা সভায় যোগ দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy