ছবি: সংগৃহীত।
বাজি ব্যবসায়ীরা তো বটেই, কালীপুজোর মরসুমে কয়েক দিনের জন্য যাঁরা বাজির খুচরো ব্যবসা করবেন, তাঁরাও যাতে লাইসেন্স নেন, নিয়মমাফিক বাজি বিক্রি করেন, সেই আহ্বান জানাল ব্যবসায়ী সংগঠনও। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ব্যবসায়ী সমিতির এমন অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে পুলিশ-প্রশাসনও। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকিরঞ্জন প্রধান বলেন, “খুব ভাল উদ্যোগ।” ঘাটালের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিবেক বর্মারও বক্তব্য, “পুলিশ সতর্ক রয়েছে। ব্যবসায়ী সমিতিও এগিয়ে এসেছে শুনে ভাল লাগছে।”
চন্দ্রকোনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনোজ গোস্বামী বলেন, “লাইসেন্স ছাড়া বাজি বিক্রি বেআইনি। নিয়ম না মেনে বাজি বিক্রি ও ব্যবহারে দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই এই সিদ্ধান্ত।”
চন্দ্রকোনা ব্যবসায়ী সমিতি শহরে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে লিফলেট ছড়িয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া বাজি বিক্রিতে ধরা পড়লে পুলিশ যখন মামলা করবে, তখন সংগঠন তার দায় নেবে না বলেও জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম এক কর্তা আশিস কামিল্যা বলেন, “ফি বছর পুলিশ বেআইনি বাজি-সহ কাউকে ধরলেই মিটমাটের জন্য সংগঠনের কাছে আর্জি জানানো হয়। তাই এ বার আগেই সবাইকে সতর্ক করেছি।” আশিসবাবুর যুক্তি, “শব্দবাজি বিক্রি বন্ধ শুধু পুলিশের দায় নয়। আমাদের মতো সংগঠনগুলিকেও এগিয়ে আসতে হবে।” ব্যবসায়ী সমিতির কড়া পদক্ষেপে কাজও হয়েছে।
জেলাশাসকের দফতর থেকে মেলে আতসবাজি বিক্রির লাইসেন্স। তবে অনেকেই লাইসেন্স ছাড়া বাজি বিক্রি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চন্দ্রকোনার এক বাজি ব্যবসায়ী মানলেন, “লাইসেন্স ছাড়াই কুড়ি বছর ব্যবসা করছি। তবে এ বার ব্যবসায়ী সংগঠনের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করেছি।” নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধে এ বারও পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের নির্দেশে জেলায় অভিযান শুরু হয়েছে। তবে পুলিশি সক্রিয়তা সত্ত্বেও বেআইনি বাজির কারবার বন্ধ হয় না। এই পরিস্থিতিতে চন্দ্রকোনা ব্যবসায়ী সমিতির অবস্থান কতটা সহায়ক হয়, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy