খোদ আইনমন্ত্রীই বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার। তবে পরিষদীয় সচিব নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েও রাজ্য এখনই সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে না বলে নবান্নের খবর। বরঞ্চ পরিষদীয় সচিব আইনের কোথায় ফাঁকফোকর আছে, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
তবে এর মধ্যেই অন্তত আট জন পরিষদীয় সচিবকে বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর সমান না-হলেও তাঁরা যাতে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পান, সে-দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
নবান্নের সূত্র জানাচ্ছে, হাইকোর্টে সোমবার ‘পশ্চিমবঙ্গ পরিষদীয় সচিব (নিয়োগ, ভাতা ও আনুষঙ্গিক নিয়মবিধি) আইন, ২০১২’ বাতিল হওয়ার পরে আইন দফতর অ্যাডভোকেট জেনারেল-সহ কিছু আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছে। পরামর্শ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের এক কৌঁসুলিরও। ওই দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সর্বোচ্চ আদালতে গেলে ফের ধাক্কার আশঙ্কা আছে কি না, দেখা হচ্ছে। কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।’’
আইন খারিজের দিনেই আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টের কথা তুলেও বলেছিলেন, ‘‘যে-সব বিষয়ে আদালতের আপত্তি, আমরা তা সংশোধনও করতে পারি।’’ তবে এ দিন পর্যন্ত নবান্ন সে-পথেও হাঁটছে না বলে সরকারি সূত্রের খবর।
সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারীদের তরফে মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রকে চিঠি দিয়ে আইনজীবী বিকাশর়ঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার মামলা হবে না, তার জবাব চাওয়া হয়েছে।’’ তৃণমূল সাংসদ, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এ ভাবে আদালত অবমাননার ভয় দেখানো যায় না। কারণ, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করার সুযোগ রয়েছে।’’ এ দিনও তাঁরা হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি পাননি বলে জানান কল্যাণবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy