Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড়ে কথাই চাইছে রাজ্য

এ দিকে বন্‌ধের জেরে পাহাড়ে বেতন হয়নি মাস পয়লায়। তাই সরকারি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের আঁচ স্পষ্ট। রুজি-রোজগার বন্ধ হওয়ায় বন্‌ধ তুলে নেওয়ার জন্য বাসিন্দাদের চাপ বাড়ছে ক্রমশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০৩:১০
Share: Save:

পাহাড় নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য রাজ্যের আবেদনে কান না দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলার রাজনীতিই জারি রাখল মোর্চা। শনিবার রাত ন’টা নাগাদ কার্শিয়াঙ বাস স্ট্যান্ডের কাছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের চাকায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েক জন। তারা মোর্চা সমর্থক বলে অভিযোগ। লাগোয়া দমকল কেন্দ্র থেকে কর্মীরা ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এর পরেই সমস্ত দমকল কেন্দ্রে সতর্কতা জারি করা হয়। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে এ দিন পাহাড়ে মিছিলও করে যুব মোর্চা। মিছিল করে কয়েকটি ছাত্র সংগঠনও।

এ দিকে বন্‌ধের জেরে পাহাড়ে বেতন হয়নি মাস পয়লায়। তাই সরকারি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের আঁচ স্পষ্ট। রুজি-রোজগার বন্ধ হওয়ায় বন্‌ধ তুলে নেওয়ার জন্য বাসিন্দাদের চাপ বাড়ছে ক্রমশ। এই পরিস্থিতিতেই শনিবার ফের রাজ্যের পক্ষ থেকে মোর্চার কাছে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়। মোর্চা তাতে সাড়া না দিলেও, প্রস্তাব ভেবে দেখা উচিত— এমনটাই মত বিভিন্ন পাহাড়ি দলকে নিয়ে গঠিত সমন্বয় কমিটির।

পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এ দিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রাজ্য খোলা মনে আলোচনায় রাজি। তাঁর আহ্বান, ‘‘আলোচনায় বসুন। কাশ্মীর থেকে শুরু করে মণিপুর, সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন, আলোচনা তো থেমে যায়নি।’’

তবে তা শোনার পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় মোর্চা নেতৃত্ব। মোর্চার সহ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ বলেন, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় আমরা রাজি নই।’’ বিভিন্ন পাহাড়ি দলকে নিয়ে গঠিত সমন্বয় কমিটির কয়েক জন সদস্য অবশ্য একান্তে জানান, তাঁরাও চান আলোচনা শুরু হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE