Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আমার গাড়িতে অমিতাভ ছিলেন না, বিস্ফোরক আহত চালক

তিনি বলেন, ‘‘কুমার তামাঙ্গ অমিতাভকে নিয়ে গিয়েছিলেন— এমন বক্তব্য কোথাও কেউ বলে থাকলে, তা নিশ্চয়ই ভিডিও-তে ধরা থাকার কথা। সেই ভিডিও কোথায়? আমি যা বলেছিলাম, তার সব ভিডিও ফুটেজ সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। সেখানে কোথাও এমন কথা বলিনি।’’

অমিতাভ মালিক। —ফাইল চিত্র।

অমিতাভ মালিক। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৫২
Share: Save:

সপ্তাহখানেক আগে ‘বিমল গুরুঙ্গ পাকড়াও’ অভিযানে গিয়ে প্রাণ হারান সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিক। সেই সময়ে পুলিশের এক গাড়িচালক জখম হয়েছিলেন। একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছিল, আহত চালকের গাড়িতেই ছিলেন অমিতাভ। কিন্তু সেই গাড়িচালক কুমার তামাঙ্গের এখন দাবি, তাঁর গাড়িতে কেউ ছিল না। গাড়ি পোড়ানো নিয়েও তিনি যা বলছেন, তা পুলিশের দাবির থেকে একেবারে আলাদা।

কুমারের বক্তব্য, ১৩ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ লিম্বুবস্তির সরু রাস্তা দিয়ে তিনি একটি খারাপ গাড়িকে টেনে আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ১০-১২ জন যুবক তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে। সেখান থেকে কোনওমতে পালিয়ে তিনি লাগোয়া একটি চা-বাগানের বস্তিতে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। কুমার তামাঙ্গের বক্তব্য, ‘‘আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। রাস্তায় আমাকে পেটানো হয়। আমি পালিয়ে যাই। অনেক দূরে গিয়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাই।’’ পাশাপাশি তাঁর কথা থেকে স্পষ্ট, তিনি গুলির লড়াই সম্পর্কে কিছু জানেন না।

ফলে প্রশ্ন উঠেছে, ১৩ অক্টোবর কার গাড়িতে অভিযানে গিয়েছিলেন অমিতাভ? কেনই বা তাঁর চালক জখম বলে সে দিন জানানো হয়েছিল? এবং কে সেই তথ্য জানিয়েছিল? কারণ, দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদীর দাবি, তাঁরা এমন কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘‘কুমার তামাঙ্গ অমিতাভকে নিয়ে গিয়েছিলেন— এমন বক্তব্য কোথাও কেউ বলে থাকলে, তা নিশ্চয়ই ভিডিও-তে ধরা থাকার কথা। সেই ভিডিও কোথায়? আমি যা বলেছিলাম, তার সব ভিডিও ফুটেজ সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। সেখানে কোথাও এমন কথা বলিনি।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, সিংলার জঙ্গলে গুরুঙ্গকে ধরার অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য পুলিশের আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠী এবং দার্জিলিঙের ডিএসপি (সদর) সিদ্ধার্থ দোর্জি। ডিএসপি বলেন, ‘‘পুলিশ, সিআরপি ব্যবহার করে, এমন একটি গাড়ি খারাপ হয়েছিল। সেটিকে পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়। ওই চালক সেই গাড়িটি উদ্ধারের জন্য গিয়েছিলেন।’’ তিনি আরও জানান, লিম্বুবস্তির ওই ঘটনাস্থল থেকে গুলির লড়াইয়ের জায়গাটি অন্তত ৫ কিলোমিটার দূরে, পাহাড়ি রাস্তার অনেক নীচে। তাঁর কথায়, অভিযান সাড়ে ৫টা নাগাদ হয়েছিল। আর কুমার গাড়ি আনতে গিয়েছিলেন সাড়ে ৬টা নাগাদ। ডিএসপির মন্তব্য, ‘‘উনি ঠিকই বলেছেন। উনি একাই যাচ্ছিলেন। কোনও গুলিযুদ্ধের কথা তিনি জানেন না। জানার কথাও নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE