Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

টয়ট্রেন কি এ বার স্টিম ইঞ্জিনেই

রেল সূত্রের খবর, যে হেতু টয়ট্রেনের হেরিটেজ স্বীকৃতি রয়েছে, তাই সব চলাচলই স্টিম ইঞ্জিনে হোক— এমনটাই চাইছেন চেয়ারম্যান। এ নিয়ে একবার রেল বোর্ডে আলোচনাও হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এক আধিকারিকের কথায়, চেয়ারম্যান চাইছেন টয়ট্রেন স্টিম ইঞ্জিনে চলুক।

ডিজেল ইঞ্জিনেই চলা টয়ট্রেন।—ফাইল চিত্র।

ডিজেল ইঞ্জিনেই চলা টয়ট্রেন।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০৩:৪৩
Share: Save:

স্টিম ইঞ্জিনেই পথ চলা শুরু হয়েছিল টয়ট্রেনের। সে প্রায় ১৩৭ বছর আগের কথা। তার পরে ডিজেল ইঞ্জিন এসে সেই জায়গা দখল করে নেয়। আজ, মঙ্গলবার টয়ট্রেন পরিদর্শনে আসবেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি। রেল সূত্রের খবর, তিনি এসে পাকাপাকি ভাবে কয়লার ইঞ্জিনই ফিরিয়ে আনতে পারেন পাহাড়ে।

অশ্বিনী লোহানি একসময়ে হেরিটেজ বোর্ডে ছিলেন। হেরিটেজ বা ঐতিহ্য নিয়ে তাঁর আগ্রহের কথা রেলে সুবিদিত। দিল্লি রেওয়ারি পথে স্টিম এক্সপ্রেস হেরিটেজ ট্রেনের চলাচলও শুরু হয়েছিল তাঁরই উদ্যোগে। আজ মঙ্গলবার দার্জিলিঙের টয়ট্রেনের পরিকাঠামো দেখতে তিনি শিলিগুড়িতে আসছেন।

রেল সূত্রের খবর, যে হেতু টয়ট্রেনের হেরিটেজ স্বীকৃতি রয়েছে, তাই সব চলাচলই স্টিম ইঞ্জিনে হোক— এমনটাই চাইছেন চেয়ারম্যান। এ নিয়ে একবার রেল বোর্ডে আলোচনাও হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এক আধিকারিকের কথায়, চেয়ারম্যান চাইছেন টয়ট্রেন স্টিম ইঞ্জিনে চলুক। এ বিষয়ে তিনি সুস্পষ্ট নির্দেশ দেবেন।

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে তথা ডিএইচআর টয়ট্রেন চলাচল পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে। ডিএইচআর-এর সর্বস্তরের আধিকারিকদের বৈঠকে ডেকেছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। ইঞ্জিন চালক থেকে স্টেশনের কর্মী— সকলের সঙ্গেই কথা বলতে চেয়েছেন তিনি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাছে চেয়ারম্যানের সফরের সর্বশেষে যে সূচি এসেছে তাতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিদর্শন শুরু করবেন তিনি। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাবেন। প্রতিটি টয়ট্রেন স্টেশন ঘুরে দেখবেন।

দার্জিলিঙের টয়ট্রেন রাষ্ট্রপুঞ্জের থেকে হেরিটেজ স্বীকৃতি প্রাপ্ত। বর্তমানে প্রতিদিন দার্জিলিং-এনজেপি রুটে টয়ট্রেন চলে। ইঞ্জিন ডিজেলচালিত। দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত ৯টি জয় রাইড হয়। সেগুলির বেশিরভাগও ডিজেল ইঞ্জিনে চলে। কোনও সংস্থা ট্রেন ভাড়া করে চার্টার্ড রাইড করলে সাধারণত স্টিম ইঞ্জিন দেওয়া হয়।

রেলের দাবি, স্টিম ইঞ্জিনে চলাচলের মূল সমস্যা হল যন্ত্রাংশ পাওয়া। বহু স্টিম ইঞ্জিন শুধুমাত্র যন্ত্রাংশের অভাবে কর্মক্ষম হচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানের উপায়ও বাতলাবেন চেয়ারম্যান। দেশের একটি ইঞ্জিন কারখানায় স্টিম ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে। সেই কারখানা থেকে দিল্লি, রেওয়ারি-সহ বিভিন্ন হেরিটেজ রাইডের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ যাচ্ছে। সেই তালিকায় জুড়তে চলেছে দার্জিলিঙের টয়ট্রেনও। নতুন কয়েকটি স্টিম ইঞ্জিনও ডিএইচআরকে দেওয়ার সিদ্ধান্তও চেয়ারম্যান জানাতে পারেন বলে খবর।

সূত্রের খবর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী মে মাস থেকে জয়রাইড হোক বা নিয়মিত যাতায়াত, সব কিছুতেই শোনা যেতে পারে কয়লার ইঞ্জিনের কু ঝিকঝিক শব্দ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE