প্রতীকী ছবি।
বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গল্প-আ়ড্ডার সঙ্গে চলছিল মদ্যপানও। সেখানেই প্রায় বেহুঁশ অবস্থায় আলুথালু বেশের তরুণীকে চোখে পড়ে গিয়েছিল বাড়ির এক জনের। তিনিই চেঁচামেচি জুড়ে দেন। আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর যায় তরুণীর বাড়িতেও।
মঙ্গলবার রাতে সোনারপুরের রথতলার ঘটনা। তরুণীর মা তাঁর মেয়ের বন্ধু-সহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতারও করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
ধৃতদের নাম উৎপল গায়েন, তমোজিৎ মিত্র ও অর্ঘ্য দাস। এর মধ্যে অর্ঘ্যের সঙ্গে তরুণীর আগে থেকে বন্ধুত্ব ছিল। তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। যদিও তাতে ধর্ষণের নির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি বলেই পুলিশ সূত্রের দাবি। মঙ্গলবার রাতে পার্টিতে কী ঘটেছিল তা মেয়েটি স্পষ্ট ভাবে জানাতে পারেননি বলেও খবর। অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে ওঁদের।
তরুণীর মায়ের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তিনি খবর পান যে তাঁর ছোট মেয়েকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তখন তিনি বড় মেয়েকে নিয়ে উৎপলের বাড়িতে যান। মায়ের অভিযোগ, ওই তিন যুবক তাঁর মেয়েকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ করেছেন। তিনি এ দিন আরও বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে ওই তিন জন খুনের চেষ্টা করেছিল। ওর মোবাইল ফোনও চুরি করা হয়েছে।’’ মোবাইলটি পরে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অর্ঘ্য একটি কলেজে সাংবাদিকতা নিয়ে স্নাতক স্তরের ছাত্র। উৎপল একটি ব্যাগের কারখানায় চাকরি করেন। তমোজিৎ-ও ছোটখাটো চাকরি করেন। মঙ্গলবার অর্ঘ্যের জন্মদিন ছিল। তিনিই দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে জন্মদিনের পার্টিতে যেতে বলেন। তবে তাঁর বাড়িতে নয়, পার্টি উৎপলের বাড়িতে হবে বলেই তাঁকে জানানো হয়েছিল। সেই মতো তরুণী সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ উৎপলের বাড়িতে যান। সে সময় অর্ঘ্য ও উৎপল ছাড়া তমোজিৎ সেখানে ছিলেন। তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, বন্ধুদের সঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন ওই তরুণী। তার জেরেই হুঁশ হারিয়েছিলেন। উৎপলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মদ্যপান নিয়েই উৎপলের এক কাকা আপত্তি তোলেন। আলুথালু বেশে বেহুঁশ তরুণীর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তখন অর্ঘ্য পাল্টা চড়াও হন তাঁর উপরে। এই গোলমালের জেরেই আশপাশের বাসিন্দারা জড়ো হন। মেয়েটির বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়।
তরুণীর মা জানান, বাড়ি ফিরে আসার পরে মেয়েটি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। স্থানীয় চিকিৎসকে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy