Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সভায় কেন এলেন না শুভ্রাংশু, জল্পনা তুঙ্গে

রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েই বিজেপি-র মঞ্চ থেকে গত শুক্রবার ফাইল দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেককে তোপ দেগেছিলেন মুকুল।

শুভ্রাংশু রায়।

শুভ্রাংশু রায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৫
Share: Save:

মুখে না মানলেও আদতে ছিল পাল্টা সভা। কিন্তু রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সেই সভামঞ্চে দেখা গেল না যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকী, জল্পনা উস্কে দিয়ে গরহাজির থাকলেন মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশুও। যাঁকে দিয়ে বিজেপি নেতা মুকুলকে জবাব দেওয়ানোর পরিকল্পনা করেছিল রাজ্যের শাসক দল। মুকুল-পুত্রের অনুপস্থিতি এবং সাদামাঠা ভিড় নিয়েই সোমবার শেষ হল তৃণমূলের সমাবেশ।

আরও পড়ুন: মুকুলকে আইনি চিঠি অভিষেকের

রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েই বিজেপি-র মঞ্চ থেকে গত শুক্রবার ফাইল দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেককে তোপ দেগেছিলেন মুকুল। তাঁর সে দিনের অভিযোগের জবাব দিতে দফায় দফায় মুখ খুলতে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের আমলা এবং তৃণমূল নেতাদের। তার পরেও বিজেপি-বিরোধিতার তাস হিসাবে মুকুলের বিধায়ক-পুত্রকে কাজে লাগানোর কৌশল নিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুভ্রাংশু কেন সভায় এলেন না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। রাত পর্যন্ত শুভ্রাংশুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করাও যায়নি। তবে তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, রাজ্যের বাইরে কাজ থাকায় তিনি সভায় যেতে পারবেন না বলে দলকে জানিয়েছিলেন বীজপুরের বিধায়ক।

দু’জনে: তৃণমূলের জনসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। সোমবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সুমন বল্লভ

অভিষেক এই সভায় হাজির হলে মুকুলকে ‘অতিরিক্ত গুরুত্ব’ দিয়ে ফেলা হতো বলেই মনে করছে শাসক শিবির। তাই সচেতন ভাবেই দূরে থেকেছেন যুব সভাপতি। তবে ‘বি‌শ্ববাংলা’ বিতর্কে মুকুলকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁর তরফে। উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের আয়োজনে এ দিনের প্রতিবাদ-মঞ্চ থেকে মূলত উত্তর ২৪ পরগনার মন্ত্রী-বিধায়কদের দিয়েই মুকুলকে নিশানা করেছে তৃণমূল। মঞ্চে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থাকলেও মুকুল-বিরোধিতায় মুখ খুলেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংহ, নৈহাটির বিধায়ক ও উত্তর ২৪ পরগনার যুব তৃণমূল সভাপতি পার্থ ভৌমিকেরা।

নারদ-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মুকুল বিজেপি-তে গিয়েও রেহাই পাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘আইন আইনের মতোই চলবে। আগামী দিনে আইন বুঝিয়ে দেবে, কার কোথায় থাকার কথা। কোনও রকম বক্রোক্তি করে লাভ হবে না!’’ মুকুলকে ‘গদ্দার’ ও ‘কালিদাস’ বলে কটাক্ষ করে অর্জুনের চ্যালেঞ্জ, ‘‘বিধানসভার ভোট ছেড়ে দিন। পুরসভার ভোটে জিতে দেখান! সাদামাঠা এক জনকে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড় করাব। তা-ও জিততে পারবেন না!’’ আর পার্থ বলেন, ‘‘দিলীপবাবু (বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি) জানতেন, ওঁর (মুকুল) ভুবনেশ্বরের জেলে যাওয়ার কথা ছিল। তাই উনি বলেছেন, ভুবনেশ্বর বা পটনার টিকিট কাটার আগে বিজেপি-তে চলে আসুন!’’ কলকাতা ও সংলগ্ন জেলা থেকে লোক আনার কথা থাকলেও তৃণমূলের সভার ভিড় বিজেপি-র সভাকে টক্কর দিতে পারেনি বলে দলেরই একাংশের মত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE