বিজয়া দশমীর ভাষণেই সুর বেঁধে দিয়েছিলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহনরাও ভাগবত। দীপাবলি কাটতে না কাটতেই এ বার দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ভাইয়াজি জোশী। আগামী ২৭-২৮ অক্টোবর শিলিগুড়িতে সঙ্ঘ পরিবারের সমস্ত সংগঠনের রাজ্য পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। সঙ্ঘের অন্দরের একাংশের মতে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও বিস্তারের কৌশল নির্ধারণে ডাকা এই বৈঠক থেকেই আরএসএসের ‘বাংলা লাইন’ ঠিক হয়ে যাবে।
আরএসএসের দক্ষিণ বঙ্গের প্রান্ত প্রচারক বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করছেন, ‘‘সঙ্ঘের কার্যকর্তারা নিয়মমাফিক সাংগঠনিক পর্যালোচনা করে থাকেন। এর মধ্যে অন্য তাৎপর্য খোঁজার দরকার নেই। তবে বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে সঙ্ঘ পরিবারের সমস্ত সংগঠনের একযোগে ঝাঁপানোর সময় এসেছে।’’ সঙ্ঘের অন্দরের খবর, গত মে মাসে কোয়েম্বত্তুরে আরএসএসের নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তর অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছিল। যা সঙ্ঘের ইতিহাসে বিরল। আরএসএস সাধারণত সর্বভারতীয় বিষয়ের উপরই প্রস্তাব গ্রহণ করে থাকে। এই ঘটনা বলে দিচ্ছে সঙ্ঘ পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কী ভাবে তৎপর হচ্ছে। সেই বৈঠকের পর বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সভাপতি অমিত শাহ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ-নীতি নিয়ে আক্রমণ করেন। সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা যায় বিজয়া দশমীতে মোহন ভাগবতের ভাষণেও।
আরও পড়ুন:গুজরাতে তাস মোদী ও ‘উন্নয়ন’
সঙ্ঘের এক মুখপাত্রের কথায়, শিলিগুড়ি বৈঠকে সঙ্ঘ পরিবারের সমস্ত সংগঠনের প্রতিনিধি থাকবেন। বিজেপির বাছাই করা নেতাদেরও ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি সঙ্ঘ পরিবার আপাতত গ্রামে গিয়ে চাষিদের কল্যাণে একগুচ্ছ কর্মসূচি নেবে। নোট বাতিল বা জিএসটি চালুর মতো ঘটনায় তৃণমূলস্তরে প্রতিক্রিয়া কী তা-ও জানতে চাইবেন সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক। শিলিগুড়ি থেকে ভাইয়াজি যাবেন ওডিশাতে। রৌরকেলায় ২৯-৩০ অক্টোবর একই ধরনের বৈঠকে সেখানকার সাংগঠনিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিস্তারের জন্য কৌশল ঠিক করে দেবেন তিনি। রাজনৈতিক ভাবে বিজেপিও পূর্ব উপকূলের এই দুই রাজ্যে ক্ষমতা দখলকেই পাখির চোখ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy