কখনও রোগীর পরিজন, আবার কখনও কখনও প্রশাসনের তরফেও প্রশ্ন তোলা হয় চিকিৎসার খরচ নিয়ে। তাই সেই খরচের হিসেবে স্বচ্ছতা আনতে বৈঠকে বসলেন কর্তারা।
প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে চিকিৎসার খরচকে কী ভাবে স্বচ্ছ করে তোলা যায়, সেই বিষয়ে সম্প্রতি বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সে বৈঠকে বসেছিলেন কলকাতার ৩০টি বেসরকারি হাসপাতালের প্রায় ১৫০ প্রতিনিধি। আলোচনায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় তথ্যপ্রযুক্তিকেই। অনুষ্ঠানে ছিলেন আমেরিকার চেরি টেলর, যিনি দু’দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন কর্পোরেট হাসপাতালে প্রযুক্তির সাহায্যে আর্থিক স্বচ্ছতা গড়ে তোলার কাজে যুক্ত।
অংশগ্রহণকারীদের একাংশ মনে করেন, যে-সব শিল্প-বাণিজ্য মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিল্প-বাণিজ্য তার অন্যতম। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রভাব ফেলে সমাজের সর্বস্তরে। চিকিৎসা পরিষেবায় প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়তেও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায়। তাই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা রাখতে প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তির।
কী ভাবে তথ্যপ্রযুক্তি বেসরকারি হাসপাতালের খরচে স্বচ্ছতা আনবে?
বিশেষজ্ঞেরা জানান, কোনও রোগী ভর্তি হওয়া থেকে ছুটি দেওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে কোন খাতে কত খরচ হল, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সেটারও খতিয়ান রাখতে হবে। যাতে কোনও রোগীর পরিজন যে-কোনও একটি বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁকে সম্পূর্ণ তথ্য জানানো হয়। এমনকী হাসপাতালের অডিটে যাতে স্বচ্ছতা থাকে, সে-দিকে নজর রাখতেও সাহায্য করবে এই তথ্য সংরক্ষণ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর তথ্য সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে সংরক্ষিত হবে কোন ধরনের ক্রনিক রোগে অধিকাংশ বাসিন্দা আক্রান্ত হচ্ছেন।
আলোচনার অন্যতম আয়োজক সুব্রত বাগচী জানান, চিকিৎসা পরিষেবাকে শুধু হাসপাতালের মধ্যে আবদ্ধ না-রেখে তা পৌঁছে দিতে হবে রোগীর বাড়িতে। কোনও এলাকার বাসিন্দারা কোন মরসুমে কী ধরনের রোগে ভুগছেন, তার তথ্য সংরক্ষিত থাকলে বাড়িতে পরিষেবা পৌঁছতে সুবিধা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy