নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল ২০০৭ সালে। তার ১০ বছরেরও বেশি সময় পরে, সেই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জন বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেলেন। তিন জনেই সিপিএমের কর্মী।
আগাম জামিন মামলার শুনানিতে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা আদালতে প্রশ্ন তোলেন, যে-সব পুলিশ অফিসার গুলি চালিয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ, তাঁরা যদি আগাম জামিন পেতে পারেন, তা হলে অন্য অভিযুক্তেরা জামিন পাবেন না কেন? গুলিচালনার তদন্তে নিযুক্ত সিবিআইয়ের আইনজীবী অবশ্য আগাম জামিনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তিন জনের আগাম জামিন মঞ্জুর করে।
গুলি চালানোর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত, সিপিএমের খেজুরি জোনাল কমিটির সম্পাদক বিজন রায় এবং জোনাল কমিটির অন্য দুই সদস্য প্রজাপতি দাস ও রবিউল হোসেন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলা করেন। শুনানিতে এ দিন সিবিআইয়ের আইনজীবী মহম্মদ আসরাফ আলি জানান, ওই তিন অভিযুক্তই পুলিশকে রাস্তা চিনিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। তাঁদের আগাম জামিন দেওয়া উচিত হবে না।
ওই তিন অভিযুক্তের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও অনিন্দ্যসুন্দর দাস জানান, অভিযুক্ত তিন পুলিশ অফিসারকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালত আগাম জামিন দিয়েছে। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ওই পুলিশ অফিসারেরা নিজেরা গুলি চালিয়েছিলেন। তাঁদের মক্কেলরা গুলি ছুড়েছেন বা তাঁদের ছোড়া গুলিতে কেউ মারা গিয়েছেন— এমন অভিযোগ সিবিআইয়ের চার্জশিটে নেই। পুলিশ অফিসারেরা যদি আগাম জামিন পান, তা হলে তাঁদের মক্কেলদের সেটা পেতে অসুবিধা কোথায়? পুলিশকে রাস্তা দেখানোর অভিযোগও ঠিক নয় বলে আদালতে জানান ওই আইনজীবীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy