ইডি-র অফিসে টাইগার মির্জা।—নিজস্ব চিত্র
গত বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ। ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় নারদ-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র দফতরে হাজিরা দিলেন টাইগার মির্জা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ মির্জা ইডি-র দফতর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছান।
ইডি সূত্রে খবর, নারদ স্টিং অপারেশনের ফুটেজ খতিয়ে দেখে মির্জাকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। তাঁর বয়নাও রেকর্ড করা হচ্ছে। অভিযোগ, নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলকে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতে সমস্ত রকম সাহায্য করেছিলেন টাইগার। পুরকর্তা ইকবালের সঙ্গেও স্যামুয়েলের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এই যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ম্যাথুর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন টাইগার।
আরও পড়ুন: নারদ মামলায় সিবিআই দফতরে ইকবালের হাজিরা
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় নারদের স্টিং অপারেশনে ‘কাজ করে দেওয়ার’ প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে রাজ্যের শাসক দলের কিছু নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে ওই ফুটেজে। ইডি-র তদন্তকারীদের বক্তব্য, ম্যাথুর বয়ানের ভিত্তিতে ইকবাল, টাইগার ও ইসমাইল নামের এক ট্যাক্সিচালকের কার্যকলাপ নিয়ে বিশেষ ভাবে তদন্ত চালানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কোন নেতা বা মন্ত্রীর কাছ থেকে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নগদ টাকার লেনদেন হয়েছিল, এই তিন মূর্তিকে জেরা করে তা জেনে নিতে চাইছে ইডি।
অন্য দিকে, নারদ-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার ফের তলব করা হয়েছিল ইকবালকে। কিন্তু অসুস্থতার জন্য গতকাল হাজিরা দিতে পারবেন না বলে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি দিয়ে জানান তিনি। আজ, বৃহস্পতিবার, ফের ইকবালকে তলব করেছে সিবিআই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি নিজাম প্যালেসে যাননি। এই মুহূর্তে দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy