Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মমতার রাখি, জল্পনার মুকুল-বিনাশ তৃণমূলের

দল হিসাবে তৃণমূল রাখির দিনটা পালন করেছে ‘সম্প্রীতি দিবস’ হিসাবে। মমতা নিজেও আরও অনেকের সঙ্গে মুকুলকে রাখি পরিয়েছেন। আর মুকুলের পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে সোমবার পার্থবাবু সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে বলেই মন্তব্য করতে হবে কেন বলে প্রশ্ন তুলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটাই মুখ— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২০
Share: Save:

দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনায় জল ঢালতে তৎপর হল তৃণমূল। এক দিকে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুলকে রাখি পরালেন। তেমনই দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করলেন, সংবাদমাধ্যমের খবর দেখে বিজেপি-মুকুল সম্পর্ক নিয়ে ভাবিত হওয়ার কিছু নেই।

দল হিসাবে তৃণমূল রাখির দিনটা পালন করেছে ‘সম্প্রীতি দিবস’ হিসাবে। মমতা নিজেও আরও অনেকের সঙ্গে মুকুলকে রাখি পরিয়েছেন। আর মুকুলের পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে সোমবার পার্থবাবু সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে বলেই মন্তব্য করতে হবে কেন বলে প্রশ্ন তুলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটাই মুখ— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় আর কোনও মুখ নেই। মমতা ছাড়া আর কাউকে মানুষ ভরসা করে না, আস্থাও রাখে না।’’

আরও পড়ুন: রাখি নিয়ে রাজনীতি, রাজ্য সরগরম

পার্থবাবুর বক্তব্যে পরিষ্কার, বিজেপি-মুকুল সমীকরণের গুঞ্জনকে তাঁরা গুরুত্ব দিতে নারাজ। আবার মুকুলের সত্যিই যদি অন্য রকম পরিকল্পনা থাকে, তাতেও তিনি বিশ্বাসযোগ্য কোনও বিকল্প গড়ে তুলতে পারবেন না— এই কথাটাও বলে রাখা হল। মহাসচিব পার্থবাবুর সদ্যপ্রয়াত স্ত্রীর এ দিন পারলৌকিক কাজ ছিল। সেই আসরের মধ্যেও এ দিন বাড়িতে যে ভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন, তার মধ্যে দলের কৌশল পরিষ্কার।

সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তাঁকে জেরা করে ছেড়ে দেওয়ার পরে মুকুলের আলাদা দল গড়ার জল্পনা গতি পেয়েছিল। দলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অনুগামীরা আলাদা মঞ্চও গঠন করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই জল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন আবার নারদ-কাণ্ডে যাতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তার জন্য রাজ্যসভার এথিক্স কমিটিতে বিজেপি সওয়াল করায় নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে মুকুলের প্রাতরাশের খবরও গোটা জল্পনায় নতুন ইন্ধন যোগ করেছে। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষও দাবি করে চলেছেন, বেশ কিছু তৃণমূল নেতা তাঁদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এমতাবস্থায় তাদের শিবিরে যে কোনও সমস্যা নেই, সেই ছবিই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে শাসক দল।

হলদিয়ায় রবিবার প্রচারে গিয়ে বিজেপি-র দিলীপবাবু বলেছিলেন, ‘‘পুজোর পরে তৃণমূলের অনেকেই বিজেপি-তে যোগ দেবেন। তৃণমূলের অনেককেই আবার ভুবনেশ্বরের জেলে চলে যেতে হবে!’’ যার উত্তরে পার্থবাবু এ দিন মন্তব্য করেছেন, ‘‘পাম্প দিয়ে ফুলিয়ে কাউকে নেতা করা যায় না! পাঁচ হাজার লোক এনে সভা করে দেখান, তার পরে এঁদের কথা নিয়ে ভাবা যাবে!’’ আর দিলীপবাবু বিধানসভা চত্বরে ফের মুকুল নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘‘উনি বিজেপি-তে যোগ দেবেন কি না, আমার জানা নেই। তবে অনেকেই অনেক জায়গায় কথা বলছেন। তালিকা দীর্ঘ। রাজনীতিতে কে যে কখন কোথায় ঢুকে পড়ে, তা আগে বলা মুশকিল!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE