ফাইল চিত্র।
দলের সহ-সভাপতিও নন এখন। নেই সংসদীয় কোনও কমিটির পদেও। তাই রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তাও আর নিতে চান না মুকুল রায়।
গত কয়েক দিন ধরে রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা নিচ্ছেন না তৃণমূলে ব্রাত্য মুকুল। একে একে দলের যাবতীয় দায়িত্ব থেকে অপসারিত হওয়ার পরে এখন মুকুল নিজেই তৃণমূলের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ আরও বাড়াতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা। মুকুলের জন্য কলকাতা বা জেলায় পাইলট এবং এসকর্ট কারের ব্যবস্থা ছিল। সঙ্গে থাকতেন স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের নিরাপত্তা রক্ষীরা। দিন কয়েক আগে মুকুল সেই সব রক্ষীদের ফেরত পাঠিয়ে দেন। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, আর কোনও সরকারি নিরাপত্তা নেবেন না দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। তবে তাঁর এক জন দেহরক্ষী এখনও থাকছেন।
কেন তিনি সরকারি নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিলেন? এ প্রসঙ্গে মুকুলের বক্তব্য, ‘‘আমি তেমন ভাবে আর রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে নেই। ফলে নিরাপত্তা রক্ষী রেখে কী করব!’’ তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, মুকুলের তৃণমূল ছেড়ে দেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দলই সেই বার্তা দিতে শুরু করেছে। একে একে তাঁর সমস্ত কিছুই কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বাকি ছিল শুধু সরকারি নিরাপত্তাটুকু। সরকার তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আগেই মুকুল তা ছেড়ে দিলেন। যা শুনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘যখন ওঁর সরকারি নিরাপত্তা প্রয়োজন ছিল, তখন নিয়েছিলেন। এখন নিশ্চয়ই তা আর প্রয়োজন নেই। তাই তা ফিরিয়ে দিলেন মুকুল।’’
মুকুলের সাম্প্রতিক গতিবিধি নিয়ে জল্পনা বিস্তর। রাজ্য সরকারি নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিয়েও চর্চা চলছে তৃণমূল শিবিরে। এ দিন যখন তাঁর নিরাপত্তা ছাড়া নিয়ে তৃণমূল-অন্দরে নানা গুঞ্জন চলছে, তখন দিল্লিতে বিশেষ কাজে ব্যস্ত মুকুল। রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তার দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই কোনও ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দেওয়া বা তা ফিরিয়ে নেওয়া হয়। রাজ্য নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy