বাংলাভাগের চেষ্টার বিরুদ্ধে তৃণমূল। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
পাহাড়ে আন্দোলনের রেশ সমতলে আনার চেষ্টার বিরুদ্ধে সম্প্রতি নকশালবাড়ির ব্যবসায়ী-সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, অবরোধ করে মোর্চার মিছিলকে তাঁরা ঢুকতে দেননি।
আর সেটাই ডুয়ার্স এবং সমতলের বিভিন্ন অংশে মোর্চার আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মানুষকে উৎসাহ জুগিয়েছে। রবিবার সেই নকশালবাড়িতেই বাংলা ভাগের চেষ্টার বিরুদ্ধে তৃণমূলের মহা মিছিলে পা মেলালেন কয়েক হাজার মানুষ। মিছিলে সামিল হন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘নকশালবাড়ির ইতিহ্য এখানকার মানুষ রেখেছেন। সম্প্রতি এখানে মোর্চার কর্মী সমর্থকেরা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করলে সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। তাদের এই মানসিকতাকে ধন্যবাদ।’’
পর্যটনমন্ত্রী জানান, নকশালবাড়ির প্রতিরোধের পরেই সমতলের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ শুরু হয়। অরাজনৈতিক ভাবেও যে মিছিল প্রতিরোধ হতে পারে সেই পথ দেখিয়েছে নকশালবাড়ি।
এ দিন বিকেলে নকশালবাড়ির আদিবাসী মাঠে একটি সভারও আয়োজন করা হয়। অটল, বিজয়নগর, কিরণচন্দ্র , ত্রিহানা চা বাগান থেকে প্রচুর বাসিন্দা সভাতে সামিল হন। পরে তাঁরা মিছিলে হাঁটেন। আদিবাসী মাঠ থেকে মিছিল নকশালবাড়ি মেন রোড, থানা, বাসস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে স্টেশন রোডে যায়।
আরও পড়ুন: মেয়েটির সারা শরীর ভেসে যাচ্ছিল রক্তে
স্থানীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি শিলিগুড়ি থেকে গিয়ে কৃষ্ণ পাল, দলের যুব সভাপতি বিকাশ সরকাররা সামিল হন। হাজির ছিলেন মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা কাজল সরকার।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাহাড়ে যে ভাবে জনজীবন অস্তির করে তোলা হয়েছে এখানে তার বিরুদ্ধে সমস্ত রকমের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বাংলাভাগের চেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা মিছিল করে এই বার্তা পাহাড়ের আন্দোলনকারীদের পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’
মিছিল সভা চলবে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি শহরে, শালহাড়ায়, মিলনমোড়ে মিছিল হয়েছে।
এর পর শালবাড়ি, কদমতলা, ডুয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গাতেও মিছিল সভা হবে। পাহাড়ে বিস্ফোরণ এবং শনিবার রাতে কালিম্পং থানায় হামলার ঘটনাও নিন্দা করেন মঞ্চ থেকে। এই সন্ত্রাসবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ, প্রতিবাদ চলবে বলে তিনি জানিয়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy