গাজিপুর গ্রামে নিহত শ্যামল ভৌমিক নামে বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসার পথে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ মুকুলের গাড়ি আমতার নারিট মোড়ে পৌঁছনোর আগেই সেখানে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তাদের হাতে দৃশ্যত তৃণমূলের কোনও পতাকা অবশ্য ছিল না। মুকুলের গাড়ির পিছুপিছু ছিল মোটরবাইক সওয়ারি কয়েকশো বিজেপি কর্মীও। বিক্ষোভকারীরা ‘মুকুল রায় গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে দিতে তাঁর গাড়িতে চাপড় মারে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে আমতা থানার পুলিশ ছিল না। মুকুলের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরাই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে তাঁকে গাজিপুরে নিয়ে যান।
দিন দশেক আগে জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে শ্যামলবাবু খুন হন বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা গাজিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সোমা গুঁই-এর স্বামী পলাশ গুঁই-সহ ১৩ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে শ্যামলবাবুর পরিবার। এর মধ্যে দুজনকে পুলিশ ধরলেও মূল অভিযুক্ত অধরা বলেই ওই পরিবারের অভিযোগ।
শ্যামলবাবুর স্ত্রী পারুলের সঙ্গে দেখা করে মুকুল তাঁকে আর্থিক সাহায্যও করেন। শ্যামলবাবুর ছেলেকে বিজেপির রাজ্য দফতরে গিয়ে দেখা করতেও বলেছেন তিনি। শ্যামলবাবুর বাড়ি থেকে বেরনোর মুখে মুকুল বলেন, ‘‘তৃণমূল আর রাজনৈতিক দল নেই। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’ তাঁকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুকুলের মন্তব্য, ‘‘সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে দেখেছি মানুষের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে অন্যায়ভাবে দমন করা হয়েছিল। এটাও একই ঘটনা।’’
মুকুলের এই মন্তব্য সম্পর্কে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও এ দিন কলকাতার হাজরা মোড়ে তৃণমূলের এক সভায় মুকুলের নাম না করে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এদিকে-ওদিকে যা আমরা জঞ্জাল হিসেবে ফেলে দিচ্ছি, তা কুড়িয়ে নিয়ে বিজেপি দল চালাচ্ছে।’’ বিজেপিকে সে জন্য ভারতের জঞ্জাল পার্টি বলেও কটাক্ষ করেন অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy