Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিশু-ধর্ষণ, খুনে উত্তাল জনতানগর

শহরের জনতা নগরে শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাড়ির মালিকের ছোট ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

উত্তেজিত জনতাকে রুখতে লাঠিচার্জ পুলিশের। নিজস্ব চিত্র

উত্তেজিত জনতাকে রুখতে লাঠিচার্জ পুলিশের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২১
Share: Save:

শহরের জনতা নগরে শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাড়ির মালিকের ছোট ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

তাই নিয়ে দিনভর উত্তেজনা ছড়াল ওই এলাকায়। রবিবার সকাল থেকে রাত অবধি ধৃত সুরজিৎ সরকার সহ গোটা পরিবারটির শাস্তির দাবিতে সরব হন এলাকাবাসীরা। অভিযুক্তের ফাঁসি চেয়ে পোস্টার নিয়ে মিছিল, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, সেবক রোডে একাধিক জায়গায় অবরোধ থেকে শুরু করে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও হয়। পরে রাতে এলাকায় অফিসারদের ঘিরে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ করে ঢিল বৃষ্টি শুরু হতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালানো হয়। দুই মহিলা সহ ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘‘শুধু সুরজিৎ নয়, গোটা পরিবারটি খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত। সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে।’’ দুই পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পরে ডিসি সুনীল যাদব, ডিসি গৌরব লাল, এসিপি অচিন্ত্য গুপ্তর নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়।

এলাকায় ধৃতের মা সুমতিদেবী তৃণমূল নেত্রী বলেই পরিচিত। দাদা বিশ্বজিৎ পাড়ার ‘দাদা’। বাবা সুনীল সরকারের চারতলা বাড়ি, স্টেশনারি দোকান। বাড়িতে ১১ ঘর ভাড়াটে। ছাদে বহুজাতিক সংস্থার মোবাইল টাওয়ারের ব্যবসা। মাস গেলে শিলিগুড়ি সরকার পরিবারের মোটা টাকা রোজগার। তাই কয়েক বছর আগেই পড়াশোনা ছেড়ে বাবা-দাদা’র সঙ্গে ব্যবসা দেখভাল করত সুরজিৎ। দিনভর বাইক নিয়ে পাড়ায় ঘুরে মস্তানি করার মতো একাধিক অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। বাসিন্দাদের দাবি, সুমতিদেবীর শাসক দলের সঙ্গে ওঠাবসা আর টাকার জোরের সামনে তাঁরা চুপ থাকতে বাধ্য হতেন।

শিশুর বাবা, জেঠুর দাবি, শিশুটির দেহ একটি চাদরে শোয়ানো ছিল। সেটি পোড়ানো হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, পুলিশের একাংশ প্রথমদিন সব আড়াল করতে চাইছে।

দুপুরে এলাকায় গিয়ে পরিবারটির সঙ্গে কথা বলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বলেন, ‘‘অভিযুক্তের ফাঁসি চাই।’’ পরে বিকেলে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ আন্দোলন করা হয় সিপিএম-এর পক্ষ থেকে। কলকাতা থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি অসুস্থ দিলীপ ঘোষও।

বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব। তিনি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি এলাকায় যাব। আর কে কী দলের দেখা দরকার নেই। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেই। সেখানে গোলমাল বাঁধানোর পাল্টা চেষ্টা বরদাস্ত হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rape Case Arrested Turmoil
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE