মহেশ ভাটিয়া ও শুভম অগ্রবাল
বারণ করেছিলেন স্থানীয়েরা। তা সত্ত্বেও মন্দারমণির উত্তাল সমুদ্রে স্নানে নেমে রবিবার মৃত্যু হল হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার দুই বন্ধুর।
মৃতদের নাম শিবম অগ্রবাল (১৯) ও মহেশ ভাটিয়া (১৯)। এ দিনই ভোরে শিবম, মহেশ-সহ চার জন একটি গাড়িতে মন্দারমণি পৌঁছন। সৈকতের এক প্রান্তে একটি হোটেলে ওঠেন। সকাল ৮টা নাগাদ শিবম ও মহেশ স্নান করতে সমুদ্রে নামেন। তখনই দুর্ঘটনা। পুলিশ জানায়, অনভিজ্ঞতার জন্য চোরাস্রোতের টানে তাঁরা ভেসে গিয়েছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মন্দারমণির যে এলাকায় ওই হোটেল, সেখানে জোয়ারের সময় সমুদ্র অনেকটা ভিতরে ঢুকে আসে। এ জন্য পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছে। সেখানে ভাঙন রোধে প্রশাসন বোল্ডার ফেলার কাজও করছে। এ দিন আবহাওয়া ছিল মেঘলা। সমুদ্রে স্রোতের টানও বেশি ছিল।
স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবকদের হাঁটু জলের বেশি নামতে বহুবার নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু শিবম ও মহেশ সাঁতার জানার কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করে এগিয়ে যান। তাঁদের আটকানোর জন্য পুলিশে ফোন করেন স্থানীয়েরা। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই দু’জনে উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যান। পুলিশ গিয়ে মহেশকে উদ্ধার করে বড়রাংকুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বেলা ১১টা নাগাদ শিবমের দেহ মেলে।
মহেশ-শিবমরা যে হোটেলে উঠেছিলেন, সেখানকার কর্মী সুব্রত বসু বলেন, ‘‘আমরা এখানে স্নানে নামতে নিষেধ করি। এ জন্য ব্যানারও টাঙানো রয়েছে। রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। কিন্তু অত সকালে যে ছেলেগুলো বেরিয়ে যাবে, ভাবিনি।’’
পুলিশ জানিয়েছে, দুই তরুণের পরিবারের লোকেরা এলে আজ, সোমবার দেহ দু’টি ময়না-তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে। ওই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন ওই দুই তরুণের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, পরিবারের লোকজন মন্দারমণি রওনা হয়ে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy