শিশুদের স্কুলে যাওয়ার ভীতি কাটাতে ‘শিশু আলয়’ নামে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। আজ এক বছরের মাথায় ওই প্রকল্পে রাজ্যের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করল কেন্দ্রীয় সরকার ও ইউনিসেফ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘শিশু আলয়’ প্রকল্পকে গোটা দেশের জন্য মডেল প্রকল্প হিসেবে তুলে ধরার কথাও ভাবছে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক।
গত বছর প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্প শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, অসম ও রাজস্থানে। প্রতিটি রাজ্যের ২০টি জেলায় ওই প্রকল্প শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এক বছরের মাথায় ইউনিসেফের সমীক্ষা বলছে, পাঁচ রাজ্যের মধ্যে সব থেকে ভাল কাজ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের খতিয়ান তুলে ধরতে আজ দিল্লি এসেছিলেন রাজ্যের শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর কথায়, ‘‘শিশু আলয় হল উন্নত মানের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার পাশাপাশি এখানে শিশুদের ভয় কাটিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত করা হয়।’’ পাঁজা জানান, প্রাক্ প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের সাফল্যের পিছনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। শিশু আলয় নামকরণটিও তিনি করেছেন।
কেন্দ্র ও ইউনিসেফ-এর সঙ্গে রাজ্যগুলির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের তরফে দাবি জানানো হয়, গত এক বছরে রাজ্যের প্রায় এক হাজারটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র বা শিশু আলয়-এ রূপান্তরিত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করে ইউনিসেফ জানিয়েছে, শুরু থেকেই প্রকল্পটি জেলা সদর বা ব্লক লেভেলেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সব ক’টি কেন্দ্রের মান যাতে একই রকমের হয়, সে জন্যও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ইউনিসেফ-এর মাধ্যমে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলা সদরে একটি মডেল ‘শিশু আলয়’ গড়ে তোলা হয়েছে। কর্মীদের বলে দেওয়া হয় যে সেই মডেলের ভিত্তিতেই নিজেদের এলাকায় শিশু আলয় গড়ে তুলতে হবে। যার ফলে কাঙ্খিত সাফল্য মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy