মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় চার্জশিট থেকে শুধুমাত্র বিমল গুরুঙ্গ ছাড় পেয়েছেন। মোর্চার প্রথম সারির নেতাদের প্রায় সকলেরই নাম রয়েছে সেখানে। দলে গুঞ্জন, সে জন্যই সম্ভবত শুক্রবারের মিছিলে দেখা গেল না প্রথম সারির কোনও নেতাকেই। দার্জিলিং স্টেশন থেকে চৌরাস্তা হয়ে চকবাজার অবধি মিছিল হয়। দৃশ্যতই মিছিলে লোক কম ছিল। পরে মোর্চা কর্মীরা প্রকাশ্যে সে কথা মেনেও নিলেন।
ঘটনাচক্রে এ দিনই শিলিগুড়ির কাছে শালুগাড়ায় বাংলা ভাগ বিরোধী মিছিল করে তৃণমূল। তাতে উপচে পড়ল ভিড়। দিন কয়েক আগেই শালুগাড়ায় পৃথক রাজ্যের দাবিতে মোর্চার মিছিল-সভা হয়েছে। এ দিন সেখানে উল্টো ছবি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, শাসকদলের মিছিলে দেখা গেল সব ভাষাভাষীকেই।
কেন এ দিন পাহাড়ের মিছিলে দেখা গেল না প্রথম সারির নেতাদের? মোর্চা সূত্রে বলা হচ্ছে, এক দিকে মদন তামাঙ্গ মামলায় চার্জশিট নিয়ে নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক চেপে বসছে। অন্য দিকে, পুলিশের সক্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। চলছে ধরপাকড়ও। ফলে স্বস্তিতে নেই মাঝারি মাপের নেতা-কর্মীরা। তাই শুক্রবারের মিছিলে মোর্চার কোনও সংগঠনেরই কোনও পদাধিকারী ছিলেন না।
শালুগাড়ার মিছিলে তৃণমূল বার্তা দিয়েছে, সমতলে অশান্তি ছড়ানো যাবে না। মিছিলের সামনে ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সম্প্রতি পানিঘাটায় ভানুভক্তের জন্মদিন উদযাপন করতে গিয়ে গৌতমবাবুকে মোর্চা সমর্থকদের হামলা-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এ দিন কিন্তু পরিস্থিতি ছিল একেবারেই আলাদা। গৌতমবাবুও ঐক্যের বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘মনে রাখতে হবে পাহাড়-সমতলের সাধারণ বাসিন্দারা কেউ অশান্তি চায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy