ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা খরচের খতিয়ান নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা বড় আকার নিল।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ জানান, রাজ্য সরকার নিজেই একটি হিসেব পেশ করে জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার মধ্যে তারা ৫ কোটি ৪১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা খরচ করতে পেরেছে। শনিবার সেই দাবি উড়িয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, হিসেবের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ব্লক স্তর থেকে অনেক সময় টাকা খরচের হিসেব আসতে দেরি হয়। তার অর্থ এই নয় যে টাকা খরচ হয়নি। বিভাগের এক প্রবীণ কর্তার কথায়, ‘‘ডিজিজ কন্ট্রোলের টাকা খরচ করতে পারিনি, এমন নথি ওরা দেখাতে পারবে না, এটা হলফ করে বলছি।’’ স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব না।’’
আরও পড়ুন: নামে বিভ্রান্তি, পাভলভ থেকে ফিরতে ৩ বছর
কেন্দ্রের তরফে আদালতে জমা দেওয়া পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫-’১৬ সালে পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধের কাজে কেন্দ্রের দেওয়া ২২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা রাজ্য খরচ করতে পারেনি। ২০১৬-’১৭ সালে খরচ করতে না-পারা টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি ৭৭ লক্ষ। চলতি আর্থিক বর্ষেও প্রায় ১৫ কোটি টাকা খরচ না-হয়ে পড়ে রয়েছে।
যা শুনে এক স্বাস্থ্যকর্তার উক্তি, ‘‘আমরা যত টাকা চেয়ে পাঠাই, তার অনেকটাই ওরা দিতে পারে না। ফলে টাকা অব্যবহৃত থাকার প্রশ্নই নেই।’’ স্বাস্থ্যভবন সূত্রের দাবি, মাস ছয়েক আগে শহরাঞ্চলে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মশা ও লার্ভা নিধনের কাজে ২ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিছু দিন আগে কেন্দ্র দেড় কোটি টাকা পাঠিয়েছে। চলতি মাসেই সেই টাকা খরচ হয়ে যাবে। বাকি টাকাটা কেন্দ্রেরই আর্বান হেলথ বিভাগের পাঠানো ১৩ কোটি টাকার থেকে নিয়ে কাজ শেষ করা হবে। ওই স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘এর পরও যদি বলা হয় যে রাজ্য টাকা খরচ করতে পারছে না সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy